বকেয়া রয়েছে স্থায়ী কর্মীদের বেতন। জুলাইয়েরও বেতন পাননি সংস্থার প্রায় ১.৬৫ লক্ষ কর্মী-অফিসার। এমনই নগদ সংকটে ভুগছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল। এবার নগদ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ ক্লায়েন্ট বা ব্যবসায়িক গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩,০০০ কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাওনা উদ্ধারে মরিয়া প্রচেষ্টা নিয়েছে তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার চেয়ারম্যানের আশা, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বকেয়া অর্থের অধিকাংশ আদায় করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, গত অর্থ বছরে বিএসএনএল লোকসান করেছে ১৪,০০০ কোটি টাকার মতো। মাসিক আয়ের তুলনায় ৮০০ কোটি টাকা বেশি খরচ হওয়ায় প্রবল নগদ সংকটে পড়তে হয়েছে বিএসএনএলকে। চলতি বছরে দুই মাস সংস্থার কর্মচারীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাসিক বেতন দিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। তার মধ্যে জুলাই মাসের বেতনই রয়েছে, যা দিতে সংস্থা ৫ আগস্ট অর্থ বরাদ্দ করে। এই পরিস্থিতিতে বকেয়া পাওনা উদ্ধার করে নগদ সঙ্কট কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।
বিএসএনএল চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি কে পুরওয়ার বলেন, ‘আমাদের এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের কাছ থেকে বর্তমানে পাওনা বকেয়া অর্থের পরিমাণ ৩,০০০ কোটি টাকার বেশি। আমরা এই অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে তাদের সঙ্গে রোজ কথা বলে চাপ দিচ্ছি এবং সাফল্যও আসছে। আমরা আশা করছি, মোট পাওনার একটা বড় অংশ আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
দেশের নানা জায়গায় থাকা তাদের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, দফতরের অব্যবহৃত জায়গা, জমি ইত্যাদি ভাড়া দিয়ে চলতি বছরে ১,০০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিএসএনএল। গত বছর যা ছিল ২০০ কোটি টাকা। এছাড়া খরচ কমাতে বেশ কিছু কাজ যেগুলি আউটসোর্সড করা রয়েছে, তা নিজেরা করার পরিকল্পনা করছে বিএসএনএল। পাশাপাশি, বছরে তারা বিদ্যুৎ বিল থেকেও ১৫ শতাংশ ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। নগদ সঙ্কটে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির লক্ষ্য এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বছরে ২০০ কোটি টাকা খরচ কমানো।