মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে যুব সমাজের উন্নতিকে পাখির চোখ করেছিলেন মমতা। তাই মমতার উদ্যোগেই একাধিক যুব সমাজের উন্নয়নমুখী প্রকল্প পেয়েছে বাংলা। যার জন্যে শিক্ষা, যুব আবাস, ক্রীড়া, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সবদিকেই চূড়ান্ত উন্নতি হয়েছে বাংলার যুব সমাজের।
মমতা সরকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করেছে গত আট বছরে, যা রাজ্যের একটি রেকর্ড। পাশাপাশি তৈরী হয়েছে অনেকগুলি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও। সূত্রের খবর, ২০১১ সালে যেখানে রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১২টি, সেই সংখ্যা বেড়ে এখন হয়েছে ৩০ এর মধ্যে ১০টি বেসরকারি। এর ফলে উচ্চশিক্ষায় নথিভুক্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ১৩.২৪ লক্ষের তুলনায় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে বেড়ে হয়েছে ২০.৩৬ লক্ষ।
আটটি নতুন সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে উত্তর ২৪ পরগনায় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং নদীয়ায় কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারি অনুদান প্রাপ্ত কলেজের সংখ্যা রাজ্যে ৪৫০, সরকারি কলেজ ৫৭টি এবং সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আটটি।
যুবদের জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণে দেশের মধ্যে এক নম্বর স্থানে বাংলা। এই স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উৎকর্ষ বাংলা তৃণমূল সরকারের এক অন্যতম সেরা প্রকল্প। ২০১৯ সালে রাষ্ট্রসংঘের পুরষ্কার পেয়েছে এই প্রকল্প।এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য প্রতি বছর ৬ লক্ষ যুবকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া। নিয়োগ নির্ভর স্বল্প দিনের কোর্স করানো হয়। এই মুহূর্তে ৩৮টি আলাদা ক্ষেত্রে ২৯৬টি কোর্স করানো হচ্ছে ১০৮৪৬টি ব্যাচকে। প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ৭৬৩জন প্রশিক্ষক। এই প্রকল্পে ২৬৮টি আইটিআই, ১৬০টি সরকারি পলিটেকনিক কলেজ, ৩২৮৯টি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বেকার যুবদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করতে রাজ্য সরকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর ৫০ হাজার বেকারকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা শুরু করেছে।
যুবদের জন্য ক্রীড়ার বিষয়েও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৬৪.৭১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের, নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম, যাদবপুরে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের সংস্কারে, বারুইপুরে ও ক্যানিঙে সুমিং পুল নির্মাণ করতে। বিভিন্ন কোচিং ক্যাম্পকে সহায়তা করতে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সারা রাজ্যে। গত আর্থিক বছরে ২২১টি এরকম ক্যাম্পকে সহায়তা করা হয়েছে।
পর্বতারোহনকে উৎসাহিত করতে ওয়েস্ট বেঙ্গল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ফাউন্ডেশন প্রতি বছর নানারকম পর্বতারোহন অ্যাডভেঞ্চারের আয়োজন এবং খরচ বহন করে। কয়েকশো কলেজকে খেলার মাঠের সংস্কার, মাল্টি জিম তৈরী এবং মিনি ডোর গেম কমপ্লেক্স তৈরী করতে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।