গতকাল বিকেল। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ইতিউতি ছড়িয়ে থাকা দর্শকদের ভিড়ের মাঝে হঠাৎ করেই বেজে উঠল দেশাত্মবোধক গানের সুর। কলকাতা পুলিশের প্রাচীন সেই ব্যান্ড। তা শুনে প্রথমটায় দর্শকরা কিছুটা অবাক হলেও কিছুক্ষন বাদে সেই গানের সুরেই তাঁরাও গলা মেলাতে শুরু করলেন। এইভাবেই এদিন বিকেল থেকে শহরে অভিনব কায়দায় সাংস্কৃতিক জনসংযোগ যাত্রা শুরু করল কলকাতা পুলিশ। এবার থেকে আর শুধুমাত্র ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নয়, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে কলকাতা পুলিশের এই প্রাচীন ব্যান্ডের মাধ্যমে দেশাত্মবোধক গানের সুরে সাংস্কৃতিক জনসংযোগযাত্রা চালানো হবে বলে জানিয়ে দিলেন লালবাজারের কর্তারা।
এর আগেও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে কলকাতা পুলিশ ব্যান্ড এই ধরনের সুর বাজিয়েছিল। তবে সেটি ভিক্টোরিয়ার ভিতরে। এদিন থেকে বাইরে ওই সুর বাজিয়ে সাংস্কৃতিক জনসংযোগ যাত্রা শুরু করল কলকাতা পুলিশ ব্যান্ড। এই ব্যান্ড থাকে আলিপুর বডিগার্ড লাইনে। যার দায়িত্বে রয়েছেন যুগ্ম নগরপাল (সশস্ত্রবাহিনী) প্রবীণ ত্রিপাঠী। এদিন তিনি জানান, “এবার থেকে প্রতি শনি ও রবিবার আমাদের পুলিশ ব্যান্ড এই ধরনের সুর বাজাবে ভিক্টোরিয়ার সামনে। এছাড়াও অন্যান্য ছুটির দিনগুলিতেও ব্যান্ডের এই সুর বাজানোর পরিকল্পনা চলছে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক জনসংযোগ বৃদ্ধির জন্য এবার থেকে পার্ক স্ট্রিট, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় শুনতে পাওয়া যাবে পুলিশ ব্যান্ডের দেশাত্মবোধক গানের সুর। সেই সুর শুনে সাধারণ মানুষের মনও যেমন আনন্দে মেতে উঠবে, সেই সঙ্গে সুরের টানে গড়ে উঠবে পুলিশ-সাধারণ মানুষের সুন্দর জনসংযোগ।”
শুক্রবারই শহরের সমস্ত থানার ওসি লালবাজারে ডেকে পাড়ায় পাড়ায় জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। এদিন শহরের সমস্ত থানার ওসিদের ডেকে জরুরি বৈঠকে বসেন পুলিশ কমিশনার। এদিনের বৈঠকে ইদ ও স্বাধীনতা দিবসের সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন লালবাজারের অন্যান্য আইপিএস কর্তারাও। বৈঠকে পুলিশ কমিশনার নির্দেশে জানান, “আসন্ন ইদের জন্য শহরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আপনারা আরও বেশি করে সচেষ্ট হন। স্বাধীনতা দিবসেও শহরজুড়ে নিরাপত্তা বজায় রাখতে আরও বেশি করে জনসংযোগ বৃদ্ধির উপর জোর দিন। তাতেই আপনাদের নিজস্ব ‘সোর্স’ আরও বাড়বে। ‘সোর্স’ বাড়লেই আপনাদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ের আগাম খবর চলে আসবে।”