লোকসভা নির্বাচনের আগেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। আর তারপরেই ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন ভাটপাড়ার ‘বাহুবলী’ অর্জুন সিংহ। এলাকায় গেরুয়া-রাজ প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠানকে ভাঙার খেলাও শুরু করেছেন ইতিমধ্যে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের গড়ে গোষ্ঠী কোন্দল রদ করতে পারলেন না তিনি। এক বিজেপি নেত্রী ও এক বিজেপি নেতা প্রকাশ্যেই জড়ালেন কোন্দলে।
অভিযোগ, অর্জুন-গড়ে এক বিজেপি নেতা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন দলেরই এক নেত্রীকে। তাঁর হুমকির জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন বিজেপি নেত্রী অনন্যা চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগের তির স্থানীয় বিজেপি নেতা সমর চক্রবর্তী ওরফে ভোলার দিকে। অভিযোগ, শমীক ভট্টাচার্যের নাম করে অনন্যা দেবী ব্ল্যাকমেল করছেন। তাই তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার ও নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অনন্যা দেবী। তিনি এই বিষয়টি দলের রাজ্য নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, দল তাঁর অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে তাঁকে।
তিনি আরও জানান, আমার ছেলে সীমান্তে দেশকে নিরাপত্তা দেয়। তাঁর মা-ই আজ নিরাপত্তাহীন। আমার ছেলে দেশকে নিরাপত্তা দিচ্ছে, অথচ আমাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে না আমার দল, আমাদের রাজ্যের প্রশাসন। শমীক ভট্টাচার্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এসবই ভিত্তিহীন অভিযোগ। আর ও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের খেলায় ফেঁসে গেছেন সেখানকার সাংসদ অর্জুন সিংহ। পচা শামুকে যে তাঁর পা কেটেছে, এখন সেটা তিনি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।