রাজনীতির মধ্যে ধর্মকে টেনে আনা বিজেপির নতুন নয়। এইবার বাঙালির প্রিয় উৎসব নিয়েও যেন দড়ি টানাটানির রাজনীতিতে নেমেছে গেরুয়া শিবির। এমনই অভিযোগ উঠছে বারবার। এই দুর্গাপূজা কমিটিগুলোকে আয়করের নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার৷ আর প্রথম থেকেই এই নোটিসের বিরোধিতা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার এক্কেবারে পথে নেমে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
রবিবার টুইটেই সেকথা জানান তিনি৷ মমতা লেখেন, ‘‘আয়কর দপ্তর অনেক দুর্গাপুজো কমিটিকে কর দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে। আমরা আমাদের সব জাতীয় উৎসবকে নিয়ে গর্বিত। উৎসব সকলের। কোনও পুজোতে ট্যাক্স বসানো হোক, আমরা চাই না। এটা সংগঠকদের ওপর একটি বাড়তি বোঝা হবে। বাংলা সরকার গঙ্গাসাগর মেলার ওপর থেকে ট্যাক্স সরিয়ে নিয়েছে। আমাদের দাবি, দুর্গাপুজো ও পুজোকমিটিগুলির ওপর কোন রকম ট্যাক্স বসানো চলবে না। আগামী ১৩ই আগস্ট মঙ্গলবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে হিন্দ সিনেমার বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বঙ্গজননী’ শাখা ধর্নায় বসবে (সকাল ১০টা – সন্ধে ৬টা)। কর্মকর্তারা, অংশগ্রহণকারীরা সহ সকলে, যারা বাংলাকে ভালবাসেন, আসুন এবং যোগদান করুন। ’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী মঙ্গলবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে হিন্দ সিনেমার সামনে ধরনায় বসবে বঙ্গজননী কমিটি৷ সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলা ওই এই ধরনায় সকলকে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি৷
তাঁর কথা আহ্বানে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তৃণমূল৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের যুগ্ম সম্পাদক শাশ্বত বসু৷ তিনি জানান, ‘‘পুজোর মাধ্যমে বহু মানুষ রোজগারের দিশা দেখেন৷ অনেক অসংগঠিত শ্রমিক এই কাজের সঙ্গে জড়িত৷ তাঁদের কাছে থাকে না প্যান কার্ড৷ সেক্ষেত্রে তাঁদের টিডিএস কেটে কীভাবে পাওনা টাকা দেওয়া হবে? পুজো আয়োজনের পর কমিটিগুলির লাভও বিশেষ থাকে না৷ তাই আয়করের নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করি৷ মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পক্ষে আমরা।’’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকদিন আগেই বারাসতের যাত্রা উৎসবে গিয়ে এই প্রসঙ্গে সুরও চড়িয়েছিলেন। এইবার রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ডাক দিলেন তিনি।