অবশেষে চোট সারিয়ে দলে ফিরছেন ইংল্যান্ডের তারকা পেসার জোফ্রা আর্চার। বিশ্বকাপের পরে চোটের কারণে বেশ কিছু সময় মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় অ্যাসেজ শুরুর আগেই দলে ফিরলেন আর্চার। ১৪ অগস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় অ্যাসেজ টেস্ট। জেমস অ্যান্ডারসন প্রথম টেস্টে চোট পাওয়ায় তাঁর জায়গাতেই দলে সুযোগ পাচ্ছেন জোফ্রা। বার্বাডোজ-জাত আর্চার এই প্রথম বার অ্যাশেজ খেলতে নামছেন। লাল বলের ক্রিকেটেও আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে তাঁর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এর জার্সি চাপিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেললেও সিনিয়র দলের হয়ে খেলা হয়নি তাঁর। আর এখন ইংল্যান্ডই আর্চারের নতুন দল।
বিশ্বকাপে তাঁর ১৫০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টার বল সমসায় ফেলে দিয়েছিল বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের। লাল বলের ক্রিকেটেও একই চিত্র দেখা যাবে বলে মনে করছেন প্রাক্তন খেলোয়াড়রা। প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর প্রায় একার হাতে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। দু’ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন অজিদের প্রাক্তন অধিনায়ক। সেই সঙ্গে অ্যাসেজের প্রথম টেস্টও জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
তবে প্রথম টেস্টে আর্চার না খেলায় অজিদের পক্ষে রান করা সহজ হয়েছে বলে মনে করেন নিন্দুকেরা। দ্বিতীয় টেস্টে স্মিথের বড় পরীক্ষা নেবেন আর্চার। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টের বল গড়ানোর আগে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় টেস্টে জোর লড়াই হবে স্মিথ ও আর্চারের। এই লর্ডসেই তো রূপকথা লিখেছিলেন আর্চার ও তাঁর সতীর্থরা।
আইপিএলে একই টিমে খেলেন আর্চার ও স্মিথ। টিমমেট স্মিথ সম্পর্কে আর্চার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচের আগে বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি আমার গতি বহু ব্যাটসম্যানকে বেগ দেয়। নেটে বহু সতীর্থ আমার বল খেলতে পছন্দ করে না। স্মিথের সঙ্গে এক দলে খেলার সুবাদে ওর ব্যাটিংয়ের খুঁটিনাটি আমি জানি। স্মিথের বিরুদ্ধে বল করার সময়ে আমি সে গুলো কাজে লাগাব।’’ দ্বিতীয় অ্যাসেজ টেস্টে যে আর্চার ও স্মিথের মধ্যে ব্যাট-বলের জোর লড়াই হবে, এ কথা বলাই বাহুল্য।