ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রের হাল-হকিকত বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানোকে পাখির চোখ করে গিয়েছেন বিদেশ সফরে। সর্বত্রই শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে তাঁর আহ্বান ছিল, রাজ্যে বিনিয়োগের সহায়ক পরিবেশ রয়েছে। আপনারা বাংলায় লগ্নী করুন। এই নিয়ে বারবার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হলেও তাদের মুখে ঝামা ঘষে বাংলায় লগ্নীর জোয়ার এনেছেন মমতা।
এবার পুজোর মুখে রাজ্যের শিল্পের জন্য ফের সুখবর। জানা গেছে, বাংলায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী থাইল্যান্ড। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাংলা ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক শীর্ষ আলোচনার আয়োজন হয়েছিল ব্যাঙ্ককে। বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভারতে থাই দূতাবাস ও ব্যাঙ্ককে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন দুই দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা। বাংলা থেকে ব্যাঙ্ককে গিয়েছে বিএনসিসিআই–এর ১৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল। আর ছিলেন থাইল্যান্ডের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি।
এছাড়াও সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থাই বণিকসভার প্রেসিডেন্ট ভি ছামনানপিসার্ন ও ইন্ডিয়া থাই চেম্বার অফ কমার্স–এর প্রেসিডেন্ট রবি সেহগল। সকলের উপস্থিতিতে সেখানেই প্রধান অতিথি ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন আলপনা দুবে আশা প্রকাশ করেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলায় থাই বিনিয়োগ বাড়বে। কারণ এই রাজ্যে পাহাড় থেকে সাগর সব রয়েছে ফলে পর্যটনের সুযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়। বিএনসিসিআই–এর প্রতিনিধিরা শিক্ষা, পর্যটন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগের ওপর বিশেষ জোর দেন।