শনিবার আসন্ন টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৩ জনের সেই দলে ঠাঁই পেয়েছেন অফ স্পিনার রাহকিম কর্নোয়াল। এই প্রথম তিনি জাতীয় দলে ডাক পেলেন। নতুনদের নিয়ে তৈরি এই দল ভারতের মুখোমুখি হবে ২২ অগস্ট। কারা কারা থাকছেন দলে? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
জেসন হোল্ডার- অনভিজ্ঞ এই দলের অধিনায়ক তিনি। বল-ব্যাট দুই বিভাগেই তিনি নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। যদিও তিনি নিজে মাত্র ৩৭টি টেস্ট খেলেছেন। ডারেন ব্র্যাভো- বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানকে একটা সময় ভাবা হয়েছিল লারার জায়গা নিতে পারেন। কিন্তু ভাল শুরু করলেও পরে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। ৫২টি টেস্ট খেলে করেছেন ৩৪৫৯ রান। দেখা যাক এই সিরিজে তিনি ক্যারিবিয়ানদের ভরসা হয়ে উঠতে পারেন কিনা। শামারহ ব্রুক্স- এই সিরিজে প্রথম বারের জন্য দেখা যাবে এই ব্যাটসম্যানকে। বয়স ৩০ পেরিয়েছে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রয়েছে ৭৩টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। করেছেন পাঁচটি শতরান। মিডল অর্ডারে সুযোগ পেয়ে কতটা কাজে লাগাতে পারেন সেটাই এখন দেখার।
রস্টন চেজ- এই দলের সেরা স্পিনার তিনিই। ভারত বরাবরই স্পিন ভাল খেলে। এবারের ভারতীয় দলের ব্যাটিং বলাই যায় প্রায় পূর্ণ শক্তির। সেই ব্যাটিং লাইনআপকে কি চাপে ফেলতে পারবেন চেজ? লোয়ার মিডলে তাঁর ব্যাটিংও দলকে ভরসা দেবে। সম্প্রতি ভারত ‘এ’-র বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি। জন ক্যাম্পবেল- ২৫ বছরের এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন। শুরুতে ব্রাথওয়েটের সঙ্গে হয়তো তাঁকেই দেখা যাবে। এখনও সেই ভাবে টেস্ট ক্রিকেটে ছাপ ফেলতে ব্যর্থ। এবারে তিনি কি পারবেন নিজের পরিসংখ্যান বদলাতে?
রাখিম কর্নওয়াল- ক্যারিবিয়ান দলে আরেক নবাগত। ২৬ বছরের এই অলরাউন্ডার বল হাতে বেশ কার্যকরী। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫৫টি ম্যাচে নিয়েছেন ২৬০টি উইকেট। চেজের স্পিন-সঙ্গী হিসেবে তাঁকে প্রথম এগারোতে নেওয়া হয় কিনা সেটাই এখন দেখার। শেন ডাওরিচ- ৩০টি টেস্ট খেলে করেছেন ১৪০২ রান, গড় ২৯.৮২। দলে দ্বিতীয় উইকেটকিপার তিনি। শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম দলে সুযোগ পাবেন কিনা সেটাই দেখার। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল-দলের অভিজ্ঞ বোলারদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ৪৩টি ম্যাচে নিয়েছেন ১২৯টি উইকেট। রবি রামপলের চোটের জন্য প্রথম বার দলে আসেন এবং ধীরে ধীরে নিজের জায়গা করে নেন দলে। শিমরন হেটমেয়ার- ক্যারিবিয়ান দলের ভবিষ্যৎ ভাবা হচ্ছে তাঁকে। সুযোগ দেওয়া হচ্ছে প্রচুর। তবে এখনও অবধি নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। টেস্ট খেলেছেন ১৩টি। তবে নেই কোনও শতরান। এই সিরিজে কি তিনি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারবেন?
শেই হোপ- বিশ্বকাপে ভাল ফর্মে ছিলেন হোপ। টেস্টেও তিনিই দলের প্রথম উইকেটরক্ষক। ব্যাট হাতেও ভরসা হয়ে উঠতে পারেন বিশ্বকাপের ফর্ম ধরে রাখলে। কিমো পল- তরুণ ফাস্ট বোলার গতির জন্য শিরোনামে উঠে এসেছেন। তবে অভিজ্ঞতা কম। তিন ম্যাচে পেয়েছেন ছয়টি উইকেট। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে ভরসা যোগাতে পারেন। কেমার রোচ- দলের অভিজ্ঞতম বোলার তিনি। ৫৩ ম্যাচে ১৮৪টি উইকেট নিয়েছেন রোচ। ম্যাচে দশ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্বও আছে তাঁর। ভারতের বিরুদ্ধে বল হাতে তাঁকেই হয়তো শুরু করতে দেখা যাবে।
তবে দল ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশ্বকাপ ও ওয়ানডের প্রথম ম্যাচে খারাপ পারফরম্যান্সের কারণেই টেস্টে ঠাঁই পেলেন না গেইল। যদিও আগে থেকে শেষ সিরিজ বলে জানানোর পরও কেন তাঁকে ক্যারিবিয়ান বোর্ড দলে রাখল না, সেই নিয়ে হতবাক ক্রিকেট দুনিয়া।