কলকাতা লীগ ও ডুরান্ড কাপের মধ্যেই আরও একটি সুখবর এল মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য। চট্টগ্রাম আবাহনী আয়োজিত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে খেলার সম্মতি জানিয়েছে ভারতের ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগান ক্লাব। শুক্রবার বিকেলে ক্লাবের কর্মকর্তারা এই টুর্নামেন্টে খেলার সম্মতিপত্র তুলে দিয়েছেন আবাহনীর অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা এবং টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক সইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার মহম্মদ রুহুল আমিনের হাতে। শুক্রবার বিকেলে ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন রুহুল আমিন টেলিফোনে ঢাকায় জানান, “এই মাত্র মোহনবাগান আমাদের টুর্নামেন্টে খেলার লিখিত নিশ্চয়তা দিয়েছে। শনিবার আমরা ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গেও আলোচনা করব। আশা করি, তারাও খেলার সম্মতি দেবে।”
চট্টগ্রাম আবাহনী এই টুর্নামেন্টের জন্য ভারতীয় এই দুই ক্লাবকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ দুটি ক্লাবকে না পেলে তারা টুর্নামেন্ট আয়োজন নাও করতে পারে-এমনটিও বলা হয়েছিল। তাই তো আয়োজকরা কলকাতায় গিয়ে ক্লাব দুটিকে রাজি করানোর উদ্যোগ নিয়েছে। টুর্নামেন্ট কবে শুরু হবে, সে তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তরফদার মহম্মদ রুহুল আমিন বলেছেন, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে তাঁরা টুর্নামেন্ট শুরু করবেন। ১৫ থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য পুত্রের নামের এই টুর্নামেন্ট শুরু করতে চান তারা। টুর্নামেন্টের এবারের আসরটি হবে ৮ দল নিয়ে। “মোহনবাগান নিশ্চয়তা দেওয়ায় আমাদের চারটি দল হয়ে গেল। আগস্টের মধ্যেই সব দল চূড়ান্ত হবে। বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, রানার্স আপ আবাহনী এবং আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী খেলবে স্থানীয় ক্লাবগুলোর সঙ্গে”, জানিয়েছেন রুহুল আমিন।
থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, নেপাল ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলির মধ্যে থেকে যে কোনও তিনটি ক্লাবকে চট্টগ্রামের টুর্নামেন্টের জন্য আনার চেষ্টা চলছে। এবার অংশগ্রহণকারী দলগুলো ফি পাবে ১০ হাজার মার্কিন ডলার করে। চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। রানার্স আপ দলের পুরস্কারের পরিমাণটা হতে পারে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।