রাজ্যের ভাগে পড়ে-থাকা ফ্রেট করিডরের কাজ আটকে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি করিডরটি নিয়ে তাঁর এই ক্ষোভের কথা জানিয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে একটি চিঠি পাঠালেন তৃণমূল নেত্রী।
ওই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরটি (ইডিএফসি) বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় গড়ে উঠছে। পণ্য চলাচলের দিক থেকে বিচার করলে, এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ হবে। এই করিডর পণ্য–চলাচলে দেশের ‘লাইফলাইন’ হিসেবে গড়ে উঠবে। একই সঙ্গে, এই করিডর দিয়ে কেবল পণ্য পরিবহণই করা হবে বলে, পণ্য পরিবহণ আগের থেকে তাড়াতাড়ি হবে, যাত্রীবাহী রেল–চলাচলও দ্রুততর হবে। স্বস্তি পাবেন রেলযাত্রীরা’।
দেশের পরিকাঠামো নির্মাণ নীতি সব রাজ্যের ক্ষেত্রে সমান নয়। এ ব্যাপারে পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে বাংলার ক্ষেত্রে বৈষম্যের ছবিটা পরিষ্কার। লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি করিডর তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। চিঠিতে এইসব বিষয়েই মমতা রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এই প্রকল্প তৈরি হলে বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকার আর্থিক উন্নতি হবে। তৈরি হবে নতুন বাণিজ্যিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। গড়ে উঠবে অনেক ছোট প্রকল্প। ব্যবসায়ীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন। দেশ জুড়ে সহজ হবে পণ্য আদানপ্রদান। সেই প্রকল্প এখন থমকে।অথচ তার প্রয়োজনীয় জমির ৭০ শতাংশ অধিগ্রহণ হয়ে গেছে রাজ্যের উদ্যগে। অধিগৃহীত জমির ৬০ শতাংশ তুলে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কাজ এগোচ্ছে না রাজ্যের ডানকুনির সঙ্গে বিহারের সোননগর পর্যন্ত। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে বাংলার অর্থনীতি। তাই উদ্বেগ প্রকাশ করে রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এই করিডর নির্মাণ বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় হচ্ছে বলে অর্থের সমস্যা থাকার কথা নয়। মমতা চান, প্রথম দুটি পর্যায়ের মতো, তৃতীয় পর্যায় নির্মাণের জন্যও কত সময় লাগবে, তা কেন্দ্র নির্দিষ্ট করে ফেলুক। শিল্প ও পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে এ ধরনের করিডর নির্মাণ একটি অত্যন্ত জরুরি বিষয়। শিল্পের ভবিষ্যৎ এর ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। তাই মমতা চান, বিনা বাধায়, মসৃণভাবে এ রাজ্য পর্যন্ত গোটা করিডরটির কাজ হোক। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।