সাল ১৯৮০-৮১। তাঁর পায়ের জাদুতে তখন মুগ্ধ কলকাতা ময়দান। প্রত্যেকটি ম্যাচে একের পর এক ডজে কাটিয়ে যাচ্ছেন খেলোয়াড়দের। আর তাঁকে অবাক হয়ে দেখছে প্রতিপক্ষ। তাঁর খেলে যাওয়ার পর থেকে বহু বিদেশি লাল-হলুদ জার্সিতে খেলে গিয়েছেন। কিন্তু ময়দানের অনেকেই এখনও বলেন, মজিদের মতো বিদেশি আর একজনও আসেনি।
মাঝে কেটে গেছে প্রায় ৫০ বছর। কিন্তু তাঁর গল্পে এখনও বুঁদ হয়ে কলকাতা ময়দানের আট থেকে আশির সমর্থককুল। এখনও তাঁর জন্য উপচে পরে ভালোবাসা। আর সেই ভালবাসার টানেই এতবছর পর শতবর্ষে পা রাখা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনুষ্ঠানে কলকাতায় আসছেন মজিদ বাসকার। আজ মাঝরাতেই কলকাতায় পা রাখছেন ‘আশির বাদশা’। আটের দশকের শুরুতে লাল-হলুদ জার্সিতে ফুল ফুটিয়েছিলেন ইরানের মজিদ। ক্লাবের শতবর্ষ উপলক্ষে অনেকদিন ধরেই তাঁকে কলকাতায় আনার চেষ্টা করছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ১ অগস্ট শতবর্ষের অনুষ্ঠানে তাঁর ভিডিও বার্তাতেও মজিদ জানিয়েছিলেন, তিনি কলকাতায় আসবেন শিগগির। ভারতীয় সময় শনিবার সকালেই তেহেরান থেকে বিমান ধরেছেন বাদশা। রাত দুটোয় তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন। আর তাই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ডাক দিয়েছেন, বাদশাকে আনতে রাত দুটোতেই ‘বিমানবন্দর চলো’।
প্রস্তুতি নিচ্ছে লাল-হলুদের বেশ কয়েকটি ফ্যান ফোরাম। ক্লাবের তরফে সরকারি ভাবে বিমানবন্দর যাওয়ার ডাক না থাকলেও, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা মজিদকে গভীর রাতেই বুঝিয়ে দিতে চান, এখনও তাঁর জন্য সমর্থকদের ভালবাসা আবেগ একই রয়েছে। সোমবার বিকেলে ক্লাবে তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা। ১৩ তারিখের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকার কথা তাঁর। আর তাই এখন থেকেই বাদশার আশায় প্রহর গুনছেন অগণিত লাল-হলুদ সমর্থকরা।