একেই বলে ভুতের বাপের শ্রাদ্ধ। যাত্রীই নেই। তাই বিমানও চলাচল করে না। অথচ সেজেগুজে বসে আছে ২৭টি বিমানবন্দর। আর তার রক্ষণাবেক্ষণে, কর্মীদের বেতন দিতে গত অর্থবর্ষে – এ নরেন্দ্র মোদীর সরকার খরচ করেছে ৩৫.৬৭ কোটি টাকা। বিমানবন্দরগুলি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪০.৬৯ কোটি টাকা। তথ্যের অধিকার আইন বা আরটিআই-এর প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এএআই।
রিপোর্টে এএআই জানিয়েছে, এধরনের মোট ৩১টি ভুতুড়ে বিমানবন্দর আছে সারা দেশে। চারটি বিমানবন্দর নির্মীয়মাণ। ওই ২৭টি বিমানবন্দরগুলি হল বাংলার আসানসোল, বালুরঘাট এবং মালদা, অন্ধ্রের ডোনাকোন্ডা, অরুণাচলের ডাপারিজো এবং জেরো, আসামের রূপসী এবং শেলা, বিহারের রকসৌল, মুজাফফরপুর এবং জোগবাণী, গুজরাতের দিসা, ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া, দেওঘর এবং ধলভূমগড়, মধ্য প্রদেশের পান্না এবং সাতনা, তামিলনাড়ুর ভেল্লোর, তেলঙ্গনার ওয়ারাঙ্গাল এবং নাদিরগুল, ত্রিপুরার খোয়াই, কমলপুর এবং কৈলাসশহর, উত্তর প্রদেশের কাসিয়া এবং ললিতপুর এবং কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর সিভিল এনক্লেভ বা সিই।
যে সেনাবাহিনীর বিমানঘাঁটি বাণিজ্যিক উড়ানের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হয় সেটাকেই সিই বলা হয়। বেঙ্গালুরুর এই সিই তৈরি হয়েছিল ২০১৮-১৯ সালে ৩৬ কোটি টাকা খরচ করে। কিন্তু সেটি চালু না হওয়ায় গত একবছরে এর রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয়েছে ৩১ কোটি টাকা।
চারটি নির্মীয়মাণ বিমানবন্দর হল – বিহারের দ্বারভাঙা, তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভোর, উত্তর প্রদেশের হিন্দোন এবং বরেলি। অসামরিক বিমান পরিবহনের মুখপাত্র রাজীব জৈন বললেন, ‘যে ৩১টি ভুতুড়ে বিমানবন্দর আছে তার মধ্যে দেওঘর, ধলভূমগড়, কাসিয়া, রূপসী, ভেল্লোর, বরেলি, দারভাঙা, হিন্দোন এবং তাঞ্জাভোর দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব বিমান চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে’।