লোকসভা নির্বাচনের পর এক ঝাঁক মানুষ মোহের বশে গেরুয়া খাতায় নাম লিখিয়েছেন। এইবার তাঁদের নিয়েই বিজেপির অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে এল। পুরোনো বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নতুন বিজেপি নেতাদের সংঘাত বারেবারে সামনে এসেছে। কিন্তু এবার এনিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে। ক্ষমতায় আসার আগেই গোষ্ঠীকোন্দল এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে, যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বঞ্চনার অভিযোগ করে দিয়েছেন পুরনো নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, যখন কেউ ছিল না, তখন তাঁরা ছিলেন। অথচ আজ তাঁরাই বাদ।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের রণকৌশল কী? তা নিয়েই দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে ২ দিনের চিন্তন শিবির। কিন্তু শাসকের বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরির আগেই অন্দরের নতুন ও পুরোনো বিজেপির লড়াই আর চাপা দিতে পারল না গেরুয়া শিবির। চিন্তন শিবিরে যোগ দিয়েছে ৪১ বিজেপি নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যে ৭ সাংসদ। প্রথমে ৩৭ জনের যোগদানের কথা ছিল। পরে দিল্লির নির্দেশে রাজু বিস্ত, সৌমিত্র খাঁ, ভারতী ঘোষ ও মাফুজা খাতুনকে সামিল করা হয়। অথচ বাদ গিয়েছেন রাজ্য কমিটির পদাধিকারীরাই। তাঁরাই বলছেন, ভারতী ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ তো লোকসভা ভোটের আগে দলে এসেছেন। ভারতী ঘোষ তো এই সেদিনও বিজেপি কর্মীদের মারধর করতেন। রাজু বিস্ত তো বিজেপির সদস্যই ছিলেন না। তাঁরা ডাক পেলেন অথচ দীর্ঘদিন তিলে তিলে যাঁরা বাংলায় দলটা গড়লেন, তাঁদের উপেক্ষা করলেন রাজ্য নেতারা। অনেকের আবার বক্তব্য, সংগঠন যাঁরা তৈরি করলেন, তাঁদের চিন্তাধারা কী আর প্রয়োজনা নেই বলে মনে করছে দল।
লোকসভার আগেই যাঁরা গেরুয়া শিবিরে এসেছে তাঁদের বেশিরভাগই টিকিট পেয়েছেন। দলে এনিয়ে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। এবার চিন্তন বৈঠকে যেভাবে নতুনদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, তাতে সেই ক্ষোভ পড়েছে ঘৃতাহুতি। এই কোন্দল এতটাই যে গেরুয়া নেতৃত্ব বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে। তাঁরা কিভাবে সামলাবে এই কোন্দল তা নিয়েই চিন্তিত গেরুয়া শিবির।