গোটা বাংলা জুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলছে ‘দিদিকে বলো’। যেখানেই প্রচার করতে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা সেখানেই উপচে পড়ছে ভিড়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজেদের মনের কথা জানানোর এই সুযোগ পেয়ে আপ্লুত সকলে। কারোর কোনও অভিযোগ পেলেই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ফোন করছেন তাঁকে, এমনটাই জানালেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বেহালা ‘দিদিকে বলো’র প্রচার শুরু করলেন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভা এলাকার ১১টি ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার এবং দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়কে নিয়ে গতকাল বেহালার পর্ণশ্রী থেকে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর প্রচার শুরু করলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও ফোন নম্বর সহ টি-শার্ট, কার্ড, স্টিকার ইত্যাদি প্রচার সরঞ্জাম বিলি করা হয়। প্রচারেই পার্থ জানালেন, অভিযোগ পেলেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করছেন।
পার্থ বলেন, ‘দিদিকে বলো’ জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় নানা মহল থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, দিদি কেন নিজে ফোন ধরছেন না? এটা অর্থহীন কথা। রাজ্যের সব জায়গা থেকে হাজারে হাজারে ফোন আসছে। সেই ফোন ধরার জন্য প্রায় শ’দুয়েক পেশাদার কর্মী রাতদিন কাজ করছেন। যিনি ফোন করছেন, তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করে রাখা হয়। পরে তার থেকে বাছাই করা বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পার্থবাবুর দাবি, প্রতিদিনই নিয়ম করে নেত্রী ফোনে পাওয়া অভিযোগ নিয়ে ফোন করেন। প্রয়োজনে প্রশাসনিক পদক্ষেপও করছেন। এই নিয়ে অপপ্রচারে কান না দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন পার্থবাবু।
সাংসদ মালা রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলে নন, বিরোধী নেত্রী থাকার সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসাধারণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখতেন। এখন ‘দিদিকে বলো’ জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ায় আরও বেশি বেশি করে মানুষ সহজে তাঁর কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীতে আজ রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কবি রোডের একটি বস্তিতে রাত কাটাবেন।
তৃণমূলের দখলে থাকা প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় বিধায়কের নেতৃত্বে এই কর্মসূচীর প্রচার আরও নিবিড় করতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করার আবেদন জানানো হচ্ছে। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই কর্মসূচী প্রচারের নির্দেশ এসেছে দলের উপরমহল থেকে। তৃণমূলের নেতা-নেত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের এই প্রচারকাজে নজরদারিতে নিযুক্ত রয়েছে আইপ্যাক কর্মীরা।