বনদফতরের উদ্যোগে সবুজায়নের লক্ষ্যে এবার পুজোয় গাছের চারা লাগানো হবে। এর জন্য পুজো কমিটিগুলিকে গাছের চারা দেবে বনদফতর। বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে চিঠি দিয়ে শহরের বড় বড় পুজোর তালিকা চেয়েছেন। শুধু কলকাতা নয়, শহরের আশপাশের পুজো কমিটিগুলিকেও গাছের চারা দেওয়া হবে। মেহগনি, শিশু, পাইন প্রভৃতি গাছের চারা বিলি করা হবে। পুজো কমিটির হাতে আলাদা করে গাছের চারা তুলে দেওয়া হবে। দক্ষিণ দমদম, দমদম প্রভৃতি পুরসভাও ক্যাম্প করে ওই সব এলাকার পুজোকমিটিগুলিকে গাছের চারা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সেই সঙ্গে প্রচার শুরু হচ্ছে, ‘ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ, এবার পুজোয় পুঁতব গাছ।’ এবারের পুজোয় বনদফতরের এটাই স্লোগান।
বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, “একটি ক্যাম্প করে না পুজোমণ্ডপে গিয়ে গাছের চারা দেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে। আমরা চাই আরও বেশি করে গাছ লাগানো হোক। এর জন্য তো বন মহোৎসব করি। অরণ্য সপ্তাহ পালন করা হয়। সাধারণ মানুষকে সবুজায়নের অভিযানে যুক্ত করার উদ্দেশ্যেই পুজোমণ্ডপে গাছের চারা লাগানো হবে”।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবেশ বাঁচানোর লক্ষ্যে গাছ লাগানোর উপর বিশেষ নজর দিয়েছেন। গত ১ আগস্ট বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম থেকে নজরুল মঞ্চ পর্যন্ত সবুজায়নের লক্ষ্যে পদযাত্রা করেন। সেদিন সেখান থেকে গাছ বিতরণও করা হয়। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য একটি গাছ কাটতে হলে পাঁচটি গাছ লাগাতে হবে বলে পূর্তদফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গাছ লাগানোকে বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। তাই এবার পুজোয় চারা গাছ বিলি করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যজুড়ে গাছ লাগানোর উপর বিশেষ নজর দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একশো দিনের কাজে গাছ লাগানোর জন্য পঞ্চায়েত দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বনদফতরের পক্ষ থেকে গাছের চারা বিলি করা হচ্ছে।