সংবাদমাধ্যমের সামনে করা বৈশাখীর অভিযোগ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উড়িয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিনই আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে মিলি আল আমিন কলেজের শিক্ষিকা পদে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বৈশাখী। আর সেই ঘোষণার সময়েই হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। সেই সময়েই বৈশাখী অভিযোগের সুরে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুরোধ মেনে শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে না ফেরার সিদ্ধান্তের জন্যই হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁকে। একই সুরে অভিযোগ তুলেছেন শোভন চট্টাপাধ্যায়ও। তার কিছুক্ষন পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে যাবতীয় অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
গত ২৩ জুলাই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শহরের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রাক্তন মেয়রের বাড়িতে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই শোভনকে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার অনুরোধ করা হয় বলে দাবি করেছেন বৈশাখী। আর সেই অনুরোধে শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজি না হওয়াতেই বৈশাখীকে হেনস্থা করা হতে পারে বলেই দাবি। এই অভিযোগের জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শোভন এখনও দলেই রয়েছেন। সে দলের বিধায়ক, কাউন্সিলর। তাঁকে ফেরানোর কোনও প্রশ্ন নেই। বরং বলা যেতে পারে, তাঁকে সক্রিয় করতে গিয়েছিলাম। আর তাতেও কোনও শর্তই ছিল না।”
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “বৈশাখী কাঁদছেন কেন, আমার কাছে এসে বললেই তো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চক্রান্তই নেই। তিনি আমার কাছে এসে বললে, শিক্ষা দফতর দেখবে কিভাবে তাঁকে সাহায্য করা যায়। আমি বলব, তিনি পদত্যাগ না করে নিজের দায়িত্ব পালন করুন। এতেই তাঁর মঙ্গল হবে।”