বিজেপিতে গিয়ে মোহভঙ্গ হওয়ায় বুধবার উলুবেড়িয়ায় তৃণমূলে যোগ দিলেন ২৬ জন বিজেপি নেতা। পাশাপাশি ৩২ জন বাম সমর্থকও এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। উলুবেড়িয়ার করাতবেড়িয়ায় এক অনুষ্ঠানে শ্রম দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নির্মল মাজি তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। এদিন সিপিএমের ১৮ জন ও ফরওয়ার্ড ব্লকের ১৪ জন নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শুধু এই নয়, তাঁদের হাত ধরে প্রায় ১ হাজার পরিবার তৃণমূলে যোগ দেয়। তারা মূলত উলুবেড়িয়ার বাসুদেবপুর, বাণীবন, জোয়াড়গুড়ি, তেহট্ট, তুলসীবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।
মন্ত্রী নির্মলবাবু বলেন, “দিদিকে বলো কর্মসূচিতে গিয়ে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। বিজেপি সম্পর্কে মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। এদিন বিজেপি ছেড়ে বহু মানুষের তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেছে”। এর ফলে উলুবেড়িয়া ও সংলগ্ন এলাকায় বিজেপি–র শক্তি আরও কমল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সারা রাজ্যেই অনেক মানুষ বিজেপি–তে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে অনেকেই ফিরে এসেছেন পুরনো দলে। বিশেষ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সংখ্যা লক্ষণীয় ভাবে বেড়েছে।
এদিন যারা তৃণমূলে যোগ দেন, তাঁদের অনেকেই কিছুদিন আগে বিজেপি–তে যোগ দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির নেতা মিলন মাইতি, অভিজিৎ অধিকারী প্রমুখ। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে তাঁরা জানান, “বিজেপি ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভেদ ঘটাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। এই রাজ্যের ঐতিহ্যই হল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা। সেই সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়নকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু স্থানীয় মানুষের কোনও স্বপ্নপূরণ করতে বিজেপি আগ্রহী বা উদ্যোগী নয়। সেই দিকে তাদের কোনও নজর নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে নিজেদের শামিল করতেই তৃণমূলে যোগ দেওয়া”।