দুর্নীতি আর বিজেপি এই দুই যেন সমার্থক শব্দ। দিন কয়েক আগেই অঙ্গনওয়াড়ির চাল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন এক বিজেপি নেতার স্ত্রী। এবার বেআইনি জাল মদের কারবারে নাম জড়াল বিজেপি নেতার। অভিযুক্ত নেতার নাম আব্দুল জলিল। তিনি বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলা সহ সভাপতি।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পর বাংলা বিহার সীমান্তবর্তী এলাকায় জাল মদের কারবার ও কারখানা গজিয়ে ওঠে। তবে জলিলের নাম প্রকাশ্য আসায় বিজেপির মধ্যে চরম অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক, এক বিজেপি নেতা জানান, জলিলদের জাল মদ ব্যবসা করতে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা শোনেননি।
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, জাল মদ কারবারের পান্ডা বলে পরিচিত জলিলের বিরুদ্ধে চাকুলিয়া থানার পুলিশ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত জলিল এখনও ধরা পড়েননি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। সম্প্রতি ডালখোলা এবং চাকুলিয়া থানার পুলিশ প্রচুর জাল বিলিতি মদ বাজেয়াপ্ত করে।
এই কারবারের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ প্রথমে ওই নেতার ভাই আব্দুল করিমের নামে মামলা শুরু করেছিল। পরে নাম জড়ায় বিজেপির জেলা নেতা জলিলের। ভাইয়ের পরে দাদার নাম জড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই পরিবারটি অনেকদিন ধরেই জাল মদের কারবার করে আসছে।
পুলিশ জানিয়েছে, জলিলের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, এ দিন ফোনে জলিল দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। তৃণমূল ডালখোলা টাউন সভাপতি তনয় দে বলেন, ‘‘বিজেপির মদতেই এমন বাড়বাড়ন্ত জলিল ভাইদের। এই দলের নেতাদের মুখে বড় বড় কথা শোভা পায় না।