প্রয়াত হলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বেশ কিছুদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। গতকাল হঠাৎই তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। আজ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে লোধীপুর ঘাটে।
আজ দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর মরদেহ বাসভবন থেকে আনা হয় দলের সদর দফতরে। সেখানে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। আজ ৩টে নাগাদ তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে শ্মশানের উদ্দেশ্যে।
ইতিমধ্যেই বহু নেতারা তাঁকে দেখে গিয়েছেন। এসেছেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, “ভারত এক মহান নেতাকে হারাল। সুষমাজি খুব ভাল মানুষ ছিলেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।” অন্য দিকে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে আমি মর্মাহত।তাঁকে ১৯৯০ সাল থেকে জানি। আমাদের মধ্যে মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও, সংসদে আমরা একসঙ্গে অনেক ভাল সময় কাটিয়েছি।এক জন ভাল মানুষ, রাজনীতিক ছিলেন।”
সুষমার মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতারাও শোকপ্রকাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন মালকা, চিফ একজিকিউটিভ অব দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তান আবদুল্লা আবদুল্লা। শোক প্রকাশ করেছেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার, রবিনা ট্যান্ডন-সহ আরও অনেকেই। অক্ষয় কুমার বলেন, “এক জন প্রাণবন্ত নেতা ছিলেন সুষমা স্বরাজজি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।”
প্রথম মোদী সরকারের জমানায় বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন সুষমা স্বরাজ। কিন্তু ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে সংসদীয় রাজনীতি থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন। জানিয়েছিলেন, অসুস্থ শরীরে আর রাজনীতি করবেন না। বিগত কয়েক বছর ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন সুষমা স্বরাজ। ২০১৬ সালে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল তাঁর। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে কর্তব্য মনে করতেন তিনি। কখনও সশরীরে, কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। আর আজ শেষ দিনেও মানুষের ভিড়ে মিশেই মুক্তি ঘটবে তাঁর।