বিগত কয়েক মাস ধরেই মন্দার কবলে পড়েছে দেশের গাড়ি শিল্প। বিভিন্ন গাড়ি কোম্পানির বড় এক্সিকিউটিভরা বলছেন, অতীতে গাড়ি ও বাইকের বিক্রি কখনও এত কমেছে কিনা সন্দেহ আছে। যার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানা। কয়েকটি কারখানায় কর্মীদের শিফট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ছেঁটে ফেলা হয়েছে কর্মীদেরও। সূত্রের খবর, গত এপ্রিল মাস থেকে ছাঁটাই হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কর্মী।
এই প্রথম গাড়ি শিল্পে ছাঁটাইয়ের একটি হিসাব প্রকাশ্যে এল। তাতে দেখা যায়, গাড়ি ও মোটর সাইকেল নির্মাতা কোম্পানিগুলি ১৫ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি করে যে সংস্থাগুলি, তারা এক লক্ষ কর্মী ছাঁটাই করেছে। বাকিদের গাড়ির ডিলাররা ছাঁটাই করেছেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের ওপরেই ছাঁটাইয়ের কোপ পড়েছে বেশি। পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই গাড়ি শিল্পে প্রবল মন্দা।
গাড়ি শিল্পের কর্তারা স্থির করেছেন, তাঁদের শিল্পকে চাঙ্গা করার জন্য সরকারের কাছে কর কমানোর দাবি জানানো হবে। সেই সঙ্গে গাড়ির ডিলার ও ক্রেতারা যাতে সহজ শর্তে ঋণ পান, তারও ব্যবস্থা করতে বলা হবে। অবশ্য এতেও গাড়ি শিল্প মন্দার হাত থেকে রক্ষা পাবে কিনা তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ আছে। অটোমোটিভ কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশান অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল বিন্নি মেহতা জানিয়েছেন, এই শিল্পে এখন মন্দা চলছে।
মন্দার ভয়ে জাপানের ইয়ামাহা কোম্পানি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাতা দুই ফরাসী সংস্থা ভালিও এবং সুব্রোস ভারতে মোট ১৭০০ অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাই করেছে। ভারতীয় সংস্থা ভি গি কৌশিকো ছাঁটাই করেছে ৫০০ জনকে। গাড়ির যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী সংস্থা হুইলস ইন্ডিয়া অস্থায়ী কর্মীদের থেকে ছাঁটাই করেছে ৮০০ জনকে। হোন্ডা মোটরস, টাটা মোটরস এবং মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা তাদের কারখানায় কিছুদিনের জন্য উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মারুতি সুজুকি গত কয়েকমাসে ছয় শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে।