নির্বাচনে ‘ইভিএম নয়, ব্যালট চাই’ এই দাবিতে সরব হয়েছেন দেশের বিরোধী দলগুলি। তার কারণ হিসেবে তাঁরা ইভিএম কারচুপিকেই দায়ী করে আন্দোলন করছেন। আর তাঁদের এই আশঙ্কা যে ভুল নয় এইবার তা পরোক্ষভাবে জানা গেল খোদ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকেই। ভারতের জনপ্রতিনিধি নির্বাচক নাগরিক সমাজের দাবি, ইভিএমে একাধিকবার প্রোগ্রামিং পরিবর্তন করা সম্ভব বলে স্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। সংগঠনটির তরফে সোমবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয়, সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন পক্ষপাতমূলক। তাই নির্বাচিত সরকারও অবৈধ।
এই দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলনে নামার কথাও এদিন ঘোষণা করা হয়। নরেন্দ্র মোদীকে ‘বড়লোকের বাউন্ডুলে ছেলে’ বলে বর্ণনা করে কেন্দ্রে ‘অবৈধ’ সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিরোধিতা করা হয়। প্রসঙ্গত, ১৯ জুলাই ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোট নিয়ে ১০ দফা প্রশ্ন তুলেছিল ভারতের জনপ্রতিনিধি নির্বাচক নাগরিক সমাজ। জানতে চান, পক্ষপাতমূলক নির্বাচন কেন অবৈধ বলে ঘোষিত হবে না? নিৰ্দিষ্ট সময়সীমা পার হলেও কোনও জবাব মেলেনি। তাই সংগঠনটির তরফে বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনও জবাবই দিতে পারেনি। তাঁদের এই নীরবতাই সম্মতির লক্ষণ। তাঁরা স্বীকার করে নিলেন পক্ষপাতমূলক নির্বাচন হয়েছে। এই সরকার অবৈধ সরকার।’
তিনি আরও জানান, সুধীর নায়েকের আরটিআই প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনই স্বীকার করেছে ইভিএমে একাধিকবার প্রোগ্রামিং বদল করা সম্ভব। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বনাথবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রূপা খান চৌধুরী, ভাস্কর গুপ্ত, ইমানুল হক প্রমুখ।