যখন তখন খুবই কম সময়ের ব্যবধানে আসামের বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে বলা হচ্ছে। আর সেই শুনানির স্থান খুব একটা কাছে নয়, কখনও ৫০০ কিলোমিটার দূরে, কখনও তারও বেশি। যার জন্য জমি, গয়না বিক্রি করে গোটা পরিবারকে নিয়ে রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন বাসিন্দারা। যার জন্য তাঁরা প্রধানত দোষী ঠাওড়াচ্ছেন রাজ্যের বিজেপি সরকারকেই।
সম্প্রতি খবরের কাগজে প্রকাশ পেয়েছে একটি তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, আসামের কামরূপ এলাকায় বোকো নামে একটি গ্রামের প্রায় ৩০০ বাসিন্দাকে নাগরিকত্ব প্রমাণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই প্রমাণপত্র নিয়ে, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বোকোর বাসিন্দাদের যেতে হবে আসামের ওপরের দিকের এলাকায়। ৫০০ কিমি পথ পার করতে হবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। না হলে হয়ত দেশে থাকার অধিকারটাই চলে যাবে সেই পরিবারের।
বারুগাঁও গ্রামের এক বৃদ্ধ বাসিন্দার ক্ষেত্রেও ঘটেছে এই একইরকম অবাক করা ঘটনা। তাঁর বয়স ১০২। তাঁদেক নাগরিকত্ব প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বৃদ্ধ আনওয়ার মহম্মদ আলি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আমি জ্ঞান হওয়ার পর থেকে এখানেই থাকি। কোথায় আমার জন্ম হয়েছিল, সত্যিই তা আমার জানা নেই। এখন আমি কী করে নাগরিকত্ব প্রমাণ করব, তা সত্যিই জানি না। আমার পরিবারের ১৬ জন সদস্যকেই নোটিস ধরিয়েছে প্রশাসন। আমরা কোত্থেকে অত টাকা পাব, যা খরচ করে আমরা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে যাব।’ আর হঠাৎ হঠাৎ নাগরিকত্ব প্রমাণের চাপে এভাবেই নাভিশ্বাস উঠেছে আসামবাসীর।