দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পরে অবশেষে দলের কাজে ফিরেছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই চেনা মেজাজে দেখা গেছে তাঁকে। গতকাল বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন অনুব্রত। সেখানে তিনি জানালেন, ৩০ হাজার কর্মীকে দলে ফেরাবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি৷ তার জন্য দু সপ্তাহ ধরে বীরভূম জেলার বোলপুর, মুরারই, নলহাটি সর্বত্র প্রচার চালানোর কথাও জানান তিনি। আর এমনটা করতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও সাফ জানিয়ে দেন৷
এদিনের এই সভা শেষে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ডাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতা তিমির গোস্বামী ফের তৃণমূলে যোগদান করেন৷ তিনি বলেন, “আমি যেমন ভুল করেছিলাম। সেই ভুল অন্য কেউ করবেন না”। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর গত ৩৫দিন ধরে অসুস্থতার কারণে অনুব্রতবাবু জেলায় ছিলেন না। কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর সেখানে ভর্তি ছিলেন। রবিবার তিনি বোলপুরের বাড়িতে আসেন। তারপরই এদিন জেলা তৃণমূলের বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে অনুব্রতবাবুকে দেখতে পেয়ে খুশি হন জেলার নেতারাও। এদিন কয়েকজনের ফের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে অনুব্রতবাবু বলেন, মানুষ ভুল করতে পারে। মানুষ যদি সংশোধিত হতে চায়, তাহলে তাঁকে সুযোগ দেওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়। তিনি বলেন, দিন পনেরোর মধ্যে বীরভূম জেলায় অন্তত ২০হাজার বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলে যোগদান করাব। নাহলে আমি রাজনীতি করব না। তাঁদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সবাই বলেছে আমরা বিজেপি করতাম। আমরা তৃণমূলে যোগ দেব।
অনুব্রতবাবু সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ভোটের পর জেলা কমিটির বৈঠক হয়নি। তাছাড়া আমার একটা অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তাই জেলা কমিটির বৈঠকটি পিছিয়ে গিয়েছিল। এদিন বৈঠকটি করা হয়েছে। অনুব্রতবাবু বলেন, জেলায় অন্তত ৫০হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে ফিরবেন। কালীপুজোর পর ভয়ঙ্কর প্রচার করা হবে। বিজেপি শুধু সাম্প্রদায়িক বিভাজন করে। কোনও উন্নয়ন নেই।