জম্মু–কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লুপ্ত হয়ে গেল রাজ্যে স্থায়ী বাসিন্দার সুযোগ–সুবিধা সংক্রান্ত ৩৫এ ধারা। কিন্তু এই দেশে জম্মু–কাশ্মীর ছাড়া আরও ১০টি রাজ্য আছে যারা সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় বিশেষ সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। সংবিধানের ৩৬৮ নম্বর অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে ৩৭১ নম্বর অনুচ্ছেদে অন্তত ৯টি রাজ্যকে বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা ও অধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাট, এমনকি মহারাষ্ট্রও রয়েছে সেই তালিকায়। ১৯৫০ সালে সংবিধান তৈরির দিন থেকে এই সুবিধা ও অধিকার দেওয়া হয়েছে।
জম্মু–কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার পর থেকে উত্তর–পূর্বের বিভিন্ন রাজ্য এবং স্বশাসিত এলাকাগুলিতে আশঙ্কা ছড়িয়েছে। দেশের এই অংশে সংবিধানের ৩৭১এ এবং ৩৭১জি অনুচ্ছেদে বিভিন্ন ধরনের সংরক্ষণের সুবিধা পান ভূমিপুত্ররা। দিতে হয় না কর। পার্বত্য এলাকায় জনজাতিদের জমির ওপরে ও নিচে থাকা অরণ্য বা খনিজ সম্পদের অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত অধিকার স্বীকৃত।
তবে এই ঘটনা মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলের মতো রাজ্যের পক্ষে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। মিজোরামের কংগ্রেস মুখপাত্র লাল লিয়াংচুঙ্গা বলেন, ‘৩৭১এ অনুচ্ছেদে হাত পড়লে রুখে দাঁড়াবেন মিজোরা। নিজেদের অধিকার রক্ষায় আমরা আত্মবলিদানেও প্রস্তুত।’ সংবিধানের ৩৭১সি ধারায় বিশেষ সুবিধা পায় মণিপুর, ৩৭১ডি এবং ৩৭১ই ধারায় সুবিধা পায় অন্ধ্রপ্রদেশ, ৩৭১এফ ধারায় সুবিধা পায় সিকিম, ৩৭১জি ধারায় মিজোরাম বিশেষ সুবিধা পায়, ৩৭১এইচ ধারায় অরুণাচল প্রদেশ সুবিধা পায়, ৩৭১এ ধারায় নাগাল্যান্ড বিশেষ সুবিধা পায়, ৩৭১আই ধারায় গোয়া পায় বিশেষ সুবিধা।
৩৭১বি অনুচ্ছেদে রয়েছে অসমের কথা। ওই অনুচ্ছেদে বলা অধিকার বলে রাজ্যপালকে অসমের জনজাতি এলাকার প্রতিনিধিদের নিয়ে বিধানসভার কমিটি গঠনের অধিকার দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। ৩৭১ডি ও ই অনুচ্ছেদে অন্ধ্রপ্রদেশে শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণ–সহ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির হাতে। অরুণাচল প্রদেশের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ অধিকার দেওয়া রয়েছে রাজ্যপালকে।