সোমবার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা তুলে নিল মোদী সরকার। ফলে এবার বাকি রাজ্যগুলির মতোই কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে পরিণত হল কাশ্মীর। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই সবর হতে দেখা গিয়েছে বহু সংবেদনশীল মানুষকে। এবার নিশ্চুপ থাকতে পারলেন না মন্দাক্রান্তা সেন। কাশ্মীর ইস্যুতে হাতে তুলে নিলেন কলম। তাঁর প্রতিবাদী কলমে ভাষা পেল কাশ্মীরীদের সমস্যা। এর আগেও বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ায় সেখানকার দরিদ্র মানুষের আদৌ কোনও উপকার হবে কিনা সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মন্দাক্রান্তা। এখানেই থামেননি তিনি। কবিতার মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ জানান মন্দাক্রান্তা।
অনেকেই মনে করছেন, কাশ্মীরে এবার শান্তি ফিরবে। বছরের বেশির ভাগ সময়েই উত্যপ্ত থাকে এই উপত্যকা। গুলি ও বোমার শব্দ শোনা এই অঞ্চলের মানুষদের কাছে নিত্য নৈমিত্যিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারণে বিগত কয়েক বছরে ভূস্বস্বর্গের পর্যটন শিল্প ব্যাপক ভাবে মার খেয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুর প্রেক্ষিতে কবি মন্দাক্রান্তা সেন মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক দেওয়ালে লেখেন, “অনেক বিতর্কের অবকাশ আছে কিন্তু শুধু না হয় এটুকুই বলি, অনুন্নত শিল্পহীন দরিদ্র এই জনজাতির মানবিক এবং জাতিসত্তা রক্ষার জন্য প্রাপ্য সুযোগসুবিধাগুলো (৩৭০ ধারার যা মূল উদ্দেশ্য, যার অন্যতম উদাহরণ হলো ভর্তুকিসহ খাদ্যের রেশন) কাশ্মীরীদের দেয়া হোক।”