অর্থনীতি ধুঁকছে। শিল্পে মন্দা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির হাতে নগদ টাকা নেই। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার তলানিতে। বিরোধীদের মতে, এ সব থেকে নজর ঘোরাতেই কাশ্মীর তাস খেলল বিজেপি সরকার।
কয়েক দিন আগেই মেহবুবা মুফতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন – অর্থনীতি যে ভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তাতে বাস্তব সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর জন্য ফের না কাশ্মীরকে কাজে লাগানো হয়! সংসদে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার প্রস্তাব আসার পরে বিরোধীরা বলছেন, মুফতির আশঙ্কাই সত্যি হল।
অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়া নিয়ে যে সরকারের দুশ্চিন্তা রয়েছে, আজ তা পরোক্ষে স্বীকার করে নেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও। মঙ্গলবার ছোট-মাঝারি শিল্প, বুধবার গাড়ি, গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী সংস্থা, বৃহস্পতিতে শিল্প, শুক্রবারে শেয়ার বাজার, রবিবারে আবাসন ও ক্রেতা সংগঠনগুলির সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন নির্মলা। ঠিক এক মাস আগে, ৫ জুলাই তিনি বাজেট পেশ করেছিলেন। তার আগেও সব মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এক মাসের মধ্যে ফের তাঁকে সব মহলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ থেকেই স্পষ্ট, বাজেটে কারও চাহিদাই পূরণ হয়নি।
বিরোধী নেতাদের আরও অভিযোগ, এই সরকার অর্থনীতি, মানুষের জীবন-জীবিকার সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতে বরাবর বিভাজনের রাজনীতি করে। এখন কাশ্মীর নিয়ে রাজনীতি করছে। আর্থিক নীতি নিয়ে আলোচনা না করে সরকার জাতীয়তাবাদের নামে দেশে আতঙ্ক তৈরি করছে।