‘একে গণতন্ত্র বলে না। এটা পুরোপুরি স্বেচ্ছাচারিতা৷ শাসকের প্রবল নিরাপত্তাহীনতা থেকে এমন সিদ্ধান্ত৷ সংসদের ভেতরে ও বাইরে সঠিক বিতর্ক করার মতো হিম্মত নেই মোদী সরকারের’৷ ৩৭০ ধারা লোপের পরে এমনটাই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায়জানালেন ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ৷
এই প্রসঙ্গে রামচন্দ্রের সাফ কথা, ‘১৯৭৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকুরুদ্দিন আলি আহমেদের জরুরি অবস্থা ঘোষণার সঙ্গে আজকের ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ৩৭০ ধারা রদ এ সই করা তুলনীয়’৷ সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘কেমন করে একটা গোটা রাজ্যকে বন্ধ করে ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের আটক করে একটি চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা আগে আপনারা ভাবলেন যা রাজ্যটি ও তার মানুষকে প্রভাবিত করবে?’
শুধু রামচন্দ্র একা নন ঐতিহাসিক কিংশুক চট্টোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সমস্যা৷ তাই এই বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ মাথা গলালে নিশ্চিতভাবে চাপে পড়ে যাবে ভারত৷ তাঁর আরও আশঙ্কা পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে গেলেও চাপে পড়ে যাবে ভারত৷ তাছাড়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থায়ী নিরাপত্তাপরিষদের সদস্য দেশগুলির অন্তত তিনটি দেশ কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে সমর্থন না করলে আন্তর্জাতিক মহলে একঘরে হয়ে যাবে নয়াদিল্লী বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি৷