জল্পনা চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। কাশ্মীর নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। কাশ্মীরের ভবিষ্যত কি হবে সেই নিয়ে তোলপাড় ছিল সংসদ। আর সেটাই সত্যি করে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হল জম্মু-কাশ্মীরের। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জম্মু-কাশ্মীরকে পুনর্গঠিত করে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হল। একটি জম্মু কাশ্মীর অন্যটি লাদাখ। এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেন কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদরা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। এই বৈঠককে ঘিরে এ দিন সকাল থেকেই জল্পনা ছিল তুঙ্গে। কী সিদ্ধান্ত হতে চলেছে বৈঠকে সে দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান হল রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহের বিবৃতির পর। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার ঘোষণার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। অমিত শাহের বিবৃতির প্রবল বিরোধিতা করেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ-সহ সমস্ত বিরোধী দলের নেতারা। আজাদ বলেন, “গণতন্ত্রকে আজ খুন করল বিজেপি।”
পিডিপি নেত্রী টুইট করে এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করে বলেন, “আজ ভারতীয় গণতন্ত্রের কালো দিন। ৩৭০ ধারাকে বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।” তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রের পরিকল্পনাটা এখন স্পষ্ট। রাজ্যের মানুষকে ভয় দেখিয়ে জম্মু-কাশ্মীর দখল করতে চাইতে তারা। কাশ্মীরকে যে কথা দেওয়া হয়েছিল, তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত।” অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংসদের মেঝেতেই ধর্নায় বসে পড়ে কংগ্রেস, পিডিপি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে-র সাংসদরা। নিজের জামা ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান রাজ্যসভায় পিডিপি সাংসদ ফৈয়াজ আহমেদ মীর।