কাশ্মীরে এই মুহূর্তে উত্তেজনা তুঙ্গে। ফের কাশ্মীর নিয়ে জল্পনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক সফল নিক্ষেপ করল ভারত। রবিবার উড়িষ্যার চাঁদিপুরের কাছে পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হল সব আবহাওয়ায় আঘাত হানতে সক্ষম কুইক রিঅ্যাকশন মিসাইল। যা ভূমি থেকে আকাশের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ভারতীয় সেনা বাহিনীর জন্য বিশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)। রবিবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটে উড়িষ্যার চাঁদিপুরের উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
আকারে ছোট এই ক্ষেপণাস্ত্রটিতে বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিন সেন্সর বসানো রয়েছে, যার সাহায্যে রেডারকেও ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই মিসাইলটির। জম্মু ও কাশ্মীরে বেনজির সেনা কার্যকলাপের মধ্যে এই উৎক্ষেপণ আরও জল্পনা বাড়িয়েছে। বেনজিরভাবে বিগত কয়েকদিনে প্রায় ৩৫ হাজার অতিরিক্ত আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে সন্ত্রাস জর্জরিত রাজ্যটিতে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসেই ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’-এর সিইও সুধীর কুমার মিশ্র জানিয়েছিলেন, ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের আরও আধুনিক সংস্করণ তৈরি। ফলে এবার অত্যাধুনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মসের আওতায় পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ। যুদ্ধ বাঁধলে, নির্দেশ পাওয়া মাত্রই এই ঘাতক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়বে ওই শহরের উপর।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের সামরিক অস্থিরতার মধ্যেই মাঝরাতে বেনজির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। গৃহবন্দি করা হয়েছে রাজ্যের তিন সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি এবং সাজ্জাদ লোনকে। রাতেই শ্রীনগর ও জম্মুতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ স্কুল-কলেজ। শ্রীনগরে কার্যত অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি হয়েছে কারফিউ। বন্ধ মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবাও। রাজধানী শ্রীনগর-সহ উপত্যকার অধিকাংশ জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।