জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশাল স্টেটাস তুলে নিয়ে দুটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল ঘোষণার সিদ্ধান্তকে ‘সংবিধানকে খুন’ বলে মন্তব্য করলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম এ দিন রাজ্যসভায় বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানকে খুন করল। একই সঙ্গে হত্যা করা হল ভারতের গণতন্ত্রকেও’।
এ দিন রাজ্যসভায় প্রবল হট্টগোলের মধ্যেই সিদ্ধান্ত পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার প্রেক্ষিতে কাশ্মীরের নেতা গুলাম বলেন, ‘৩৭০ ধারা (কাশ্মীরের স্পেশাল স্টেটাস) ঐতিহাসিক। সীমান্তের একটা রাজ্য যা ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিকভাবে ভিন্ন সেটাকেই বেঁধে রেখেছিল ৩৭০ ধারা। ক্ষমতায় মত্ত হয়ে এবং শুধু ভোট পেতে বিজেপি সরকার সেগুলি ছেঁটে ফেলল’।
এনসিপি নেতা ওমর আবদুল্লা বিবৃতি দিয়ে লিখেছেন, ‘ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত একপেশে এবং জম্মু-কাশ্মীরবাসীর পক্ষে বিশ্বাসঘাতী। এর সুদূরপ্রসারী বিপজ্জনক ফল হবে। ভারত সরকার এবং তাদের প্রতিনিধিরা আমাদের মিথ্যা বলেছেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভারত সরকার কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সারা রাজ্য, প্রধানত কাশ্মীর উপত্যকা কার্যত দুর্গ হয়ে আছে। ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা বাতিল হওয়ায় রাজ্যের মৌলিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সম্পূ্র্ণ বেআইনি। এনসিপি এর বিরোধিতা করবে। সবাই প্রস্তুত থাকুন’।
পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি টুইটারে সোমবারকে গণতন্ত্রের পক্ষে সব চেয়ে কালো দিন বলে উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমাদের মতো যেসব মানুষরা গণতন্ত্রের মন্দিরে আস্থা রাখি তাঁরা প্রতারিত হলেন। ভারতে থেকে আমরা কী পেলাম। সাম্প্রদায়িকতার নিরিখে আরেকটা দেশভাগ। বিশেষ মর্যাদা আমরা উপহার পাইনি। ভারতীয় সংসদই আমাদের সেই অধিকার দিয়েছিল। ভারত এবং জম্মু–কাশ্মীরের তৎকালীন নেতৃত্ব এই চুক্তি করেছিল। আজ সেই চুক্তি লঙ্ঘিত হল। ভারত সরকারের ইচ্ছাটা খুবই পরিষ্কার আর অশুভ। তারা চাইছে ভারতের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্যের অবস্থান বদল করতে। মুসলিমদের এতোটাই শক্তিহীন করে দিতে যাতে তাঁরা নিজেদের রাজ্যেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে যান।’