বড়বাজার দুর্নীতি মামলা নিয়ে এমনিতেই বেশ চাপে মুকুল রায়। এরই মাঝে আরও এক নয়া মামলা এসে পড়ল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ঘাড়ে। রেলে চাকরি দেওয়া-সহ বিভিন্ন কমিটিতে জায়গা করে দেওয়ার নামে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন, উঠেছে এমন অভিযোগ। চলতি বছরেই সরশুনা থানায় দায়ের হওয়া এই অভিযোগে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করল পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে রেলের চাকরি ও কমিটিতে জায়গা দেওয়ার নামে ৬০ লক্ষ টাকা দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত হিসাবে প্রথমেই নাম রয়েছে মুকুল রায়ের। পাশাপাশি, রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার নামও। মুকুলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন বেহালার বীরেন রায় রোডের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, ২০১৫ সালে নিজার প্যালেসে মুকুলের সঙ্গে একদিন দেখা করেন তিনি। সেখানে আরও তিনজনের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন মুকুল। এবং রেলের কমিটিতে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। এরপর নানান ভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে দফায় দফায় ৬০ লক্ষ টাকা নেন মুকুল ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। শুধু তাই নয়, রেলে চাকরি পাওয়া যাবে এমন দাবি করা হয় ওই ব্যবসায়ীর কাছে। সেই অনুযায়ী, তিনি নাকি অন্তত ৫ জনের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে তুলে মুকুলকে দেন। বিনিময়ে মন্ত্রী-সাংসদদের লেটারহেডে কিছু কাগজপত্রও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু চাকরি বা কমিটি কোনওটাই হয়নি। অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইলে নানান অজুহাতে তা এড়িয়ে যেতেন মুকুল রায়।
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। পড়ে রেলের দফতরে গিয়ে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন মন্ত্রী ও সাংসদদের লেটার হেডে যেসব কাগজপত্র দেওয়া হয়েছিল সেগুলি সব জাল। অভিযোগ, এরপর মুকুল রায়কে বিষয়টি জানিয়ে টাকা চাইলে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন মুকুল। পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।