বাংলার শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা সবাই কোমর বেঁধে নেমেছেন তাঁদের প্রিয় নেত্রীর নির্দেশ মতো। রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেটুকু দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটুকুও দূরত্ব রাখতে চান না দল নেত্রী। তাই সবার কাছে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর দলের অনুগামী নেতা-কর্মীদের। তাই সকলেই তাঁদের প্রিয় ‘দিদি’-র কথামতো কাজ করতে ব্যস্ত। যে যাঁর নিজের মতো করে জন সংযোগের উপায় বার করছেন। লক্ষ্য একটাই। এইবার সেই লক্ষ্যে পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে রাত কাটালেন দুই বিধায়ক।
শনিবার পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের সুপুডি গ্রামে রাত কাটান স্থানীয় বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন। তাঁর সঙ্গে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত ওই গ্রামেই ছিলেন বিধায়কের স্ত্রী প্রতিমা সরেনও। তিনি আবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বটে। জয়পুরের বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো রাতে ছিলেন ঝালদা দুই নম্বর ব্লকের চিতমু গ্রামে। রবিবার পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের ডিমডিহা গ্রামে যান পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। রীতিমতো কাদা মাড়িয়ে বাড়ি বাড়ি সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছেন মন্ত্রী। শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘অভিনব কর্মসূচি নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে।’
তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ও দলের স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে বান্দোয়ানে সুপুডি গ্রামে গিয়েছিলেন বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন ও তাঁর স্ত্রী তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি প্রতিমা সরেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের সঙ্গেই কথা বলেন বিধায়ক। সমস্যা তালিকাভুক্ত করে সমাধানেরও আশ্বাস দেন।