আগের দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট পাওয়া পিয়ারলেসের কাছেই লজ্জার হার চাকচিক্যের মোহনবাগানের। বাগানের ছোট মাঠে কিছুতেই স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেন না বাগানের স্প্যানিশ আর্মাডা। ক্রোমার কেরামতিতে কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ল মোহনবাগান।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই পজিটিভ ফুটবল খেলা শুরু করে মোহনবাগান। খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই গঞ্জালেসের দুরন্ত শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পঞ্চম মিনিটে আবার ধনচন্দ্র যা মিস করলেন, তা দেখার পর গ্যালারি থেকে ঠিক কী কী বিশেষণ তাকে শুনতে হয়েছে, তা সহজেই অনুমেয়। পিয়ারলেস যে একেবারে চুপ করে ছিল তা একেবারেই নয়। ঘর সামলে বারবার আক্রমণে উঠছিলেন ক্রোমারা। সেই সুবাদেই ২৩ মিনিটে আচমকা কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল প্রাক্তন মোহনবাগান স্ট্রাইকারের। এর পরেই যেন বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়ে যায় পিয়ারলেস। তাদের আক্রমণে বেশ দিশেহারা অবস্থা হয় বাগানের। চাপের মুখে বেশ কিছু মিস পাস ও করেন অরিজিৎ বাগুই, ধনচন্দ্ররা। সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেও ডিফেন্সিভ পিয়ারলেসএর কারণে সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা।
ম্যাচে সমতা ফেরাতে মরিয়া কিবু বিরতির পরেই দলে দুটি পরিবর্তন আনেন। সুখদেবের বদলে ইমরান ও আজহারের পরিবর্তে নাওরেমকে নামেন কিবু। এতেই আক্রমণের ঝাঁজ বারে বাগানের। ৫৩ মিনিটে প্রায় গোল করেই ফেলছিল মোহনবাগান। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সালভার হেডার পোস্টে লাগে। রিবাউন্ড শট দুর্দান্ত সেভ করেন পিয়ারলেস গোলকিপার। এরমধ্যে ৫৭ মিনিটে আরেকটি গোল প্রায় করে ফেলছিল পিয়ারলেস। বাগান ডিফেন্সের ফাঁকফোকর এর সুযোগ নিয়ে মোহন জালে বল প্রায় জড়িয়েই দিয়েছিলেন অনীল কিস্কু। কিন্তু সে যাত্রায় বার ই বাঁচায় সবুজ মেরুনকে। এর কিছু পরেই আবার সেই বাগান ডিফেন্সের হতশ্রী পারফরম্যান্সের সুযোগ নিয়ে গোল করে ফেলতেই পারতেন উলফ। কিন্তু ফাঁকা গোলে অদ্ভুতভাবে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন তিনি।