লগ্নীকারীদের হতাশ করে সেনসেক্স গড়ে ফেলেছে জুলাইয়ে ১৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পড়ার রেকর্ড। এখন লগ্নিকারীদের একটাই প্রশ্ন, বাজারে স্বস্তি ফিরবে কবে? কারণ, যে ভাবে অর্থনীতির বিভিন্ন পরিসংখ্যানে চাহিদা কমার লক্ষণ স্পষ্ট হচ্ছে, তাতে দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। অন্য দিকে ভারতের মূলধনী বাজার থেকে নাগাড়ে পুঁজি তুলছে বিদেশি আর্থিক লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। ফলে বাজার চাঙ্গা হওয়ার দিশা দেখতে পাচ্ছেন না অনেকেই। বরং অর্থনীতির আকাশে ফের মন্দার মেঘ জমাট বাঁধছে কি না, সেই আশঙ্কাতেই কাঁটা তাঁরা।
শ্লথ অর্থনীতি ছাড়াও বাজারের পতনে মূলত দায়ী বাজেটের দু’টি ঘোষণা। এক, অতি ধনীদের আয়ে বাড়তি সারচার্জ। যার আওতায় আসতে পারে ট্রাস্ট ও অ্যাসোসিয়েশন অফ পার্সন্স হিসেবে নথিভুক্ত বিদেশি লগ্নিকারীরাও। ফলে শেয়ার বেচছে তারা। দুই, নথিভুক্ত সংস্থায় খুচরো লগ্নিকারীদের ন্যূনতম শেয়ার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা।
তবে অর্থনীতি যে ঝিমিয়ে, তা স্পষ্ট। চাহিদায় টান সর্বত্র। পরিকাঠামো বৃদ্ধি তলানিতে। কমছে গাড়ি বিক্রি। কাজ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। অনেক জায়গায় অপর্যাপ্ত বৃষ্টিতে কৃষি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কিছু ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণ কমলেও, একাংশের এখনও তা বাড়ছে। নগদের অভাবে গৃহঋণ সংস্থাগুলি ঋণ প্রদান কমানোয় ভুগছে গৃহনির্মাণ-সহ নানা শিল্প। আশানুরূপ হয়নি বহু সংস্থার আর্থিক ফলও।