জলযন্ত্রণার পর জাতীয় নাগরিকপঞ্জির যন্ত্রণা। বন্যা পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন গুয়াহাটি শহর থেকে ৭০ কিমি দূরের গোরাইমারির বাসিন্দারা। কারণ ফের নাগরিকপঞ্জিতে নাম পুনরায় যাচাই করার জন্য বাসিন্দাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
এই আতঙ্কের পরিবেশে পড়ে ৪০ বছরের বাসিন্দা মুখতার আলি বলেন, “আমরা কী করব বুঝতে পারছি না। গত বছর খসড়া তালিকা থেকে আমরা বাদ পড়েছিলাম। তারপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করি। প্রায় ১২ বার শুনানির জন্য গিয়েছি। আমার কাছে আর কোনও কাগজপত্র নেই। টাকাও নেই”। ২৫ বছরের পার্থ মণ্ডলের কাছেও নোটিস এসেছে। কামরূপ জেলার চামারিয়ার বাসিন্দা পার্থ পেশায় গাড়ি মেকানিক। তিনি বলেন, “ভয় হচ্ছে এবার না আমাদের বন্দি করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়”।
আসামের বাসিন্দা প্রধানত মুসলিম বাসিন্দাদের কাছে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে অসমের কোনও এক জায়গায় গিয়ে এই শুনানিতে উপস্থিত হতে হবে। যদিও সূত্রের খবর, শুধুমাত্র মুসলিমরাই নন, কয়েকশো হিন্দু বাঙালি পরিবারের কাছেও এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে সরকার জানিয়েছে, যাচাই পর্বে সব কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের, যা প্রমাণ করবে তাঁরা ১৯৭১ সালের মার্চের আগে থেকেই আসামে রয়েছেন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নাম থাকার জন্য ১৯৭১ সালের মার্চকেই সময়কাল হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে ফের রবিবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে মুখতার আলিকে। বুধবারের মধ্যে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু তাঁর কথায়, “আমাকে ওখানে যেতে অন্তত ২০ হাজার টাকা দরকার। কিন্তু আমার কাছে ২০০ টাকাও নেই”।