মুম্বই বিমানবন্দরের কাছ দিয়ে বয়ে চলা মিঠি নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। তার উপরে বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে মুম্বইয়ের। রাস্তায় যানজট তীব্র, লাইনে জল ওঠায় থমকে যাচ্ছে রেল। আজ হাওড়া থেকে মুম্বইগামী জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস ও মুম্বই মেল বাতিল করা হয়েছে। আগামিকালের হাওড়া-মুম্বই দুরন্ত এক্সপ্রেসও বাতিল। শহরতলির স্টেশন শেলু-র কাছে কার্যত উপড়ে গিয়েছে ওভারহেড তারের খুঁটি। মুম্বই, পুণে ও পালঘরে বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আজ মৃত্যু হয়েছে চার জনের। আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ব্যাহত বিমান চলাচলও।
মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস বলেছন, ‘‘আটটি পাম্পিং স্টেশনের সব ক’টি একসঙ্গে চালু হলেই পরিস্থিতির চোখে পড়ার মতো উন্নতি হবে।’’ বিমানবন্দরের কাছেই সান্তাক্রুজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৫২ বছরের এক প্রৌঢ়া ও তাঁর ২৬ বছরের ছেলে। পুণের লোনাভালায় দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গিয়েছে ১০ বছরের এক বালক। পালঘরের বিক্রমগড় তালুকে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। মুম্বইয়ের ধারাভিতে নালায় পড়ে নিখোঁজ এক যুবক। শহরতলির গোরেগাঁওয়ে বাড়িতে বোল্ডার পড়ে জখম দুই শিশু-সহ চার।
আগামিকাল সমস্ত স্কুল-কলেজ ও অফিস ছুটি। ঠাণের খাদাভলীর জু-নন্দখুড়ি গ্রাম থেকে ১৬টি শিশু-সহ ৫৮ জনকে উদ্ধার করেছে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। পালঘরেও নেমেছে বায়ুসেনা। পুণেতে মুথা নদীর চারটি বাঁধেই সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে জলস্তর। সেনার ১২০ জন জওয়ান এবং নৌবাহিনীর তিনটি দলের সদস্যেরাও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন ঠাণেতে। নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।