ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-২০ সিরিজে নজর ছিল সব ক্রিকেটপ্রেমীরই। তার অন্যতম কারণ, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আচমকা ধাক্কার পর দলের চার ও পাঁচ নম্বর জায়াগাটিতে ভরসার ব্যাট খুঁজে পাওয়া এবং তারুণ্যে ভরপুর দলের ক্ষমতা, ক্রিকেটীয় বুদ্ধি ও দক্ষতা যাচাই করে নেওয়া। সব দিক ভালো করে পরীক্ষা করে নিয়ে অবশেষে দুর্ধর্ষ জয় ভারতের। কি করে এল এই জয়? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কোহালি। ক্রিজে কোনও স্যাঁতসেতে ভাব ছিল না। পরের দিকে ক্রিজ মন্থর হতে শুরু করে। তাই টসে জিতে ব্যাটিং নেওযার সিদ্ধান্তও ভারতকে অনেকটা এগিয়ে দেয়।
এই সিরিজ জয়ে ভারতের অন্যতম হাতিয়ার তরুণ রক্ত। নতুনদের মধ্যে সাইনি, ক্রুণাল, ওয়াশিংটন সুন্দররা যেমন সফল, তেমনই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপাকে ফেলেছেন ভুবনেশ্বর কুমার, রবীন্দ্র জাদেজার মতো বোলাররাও। গতি ও মানসিকাতার বিচারে এ সিরিজের সেরা আবিষ্কার অবশ্যই নবদীপ সাইনি। ফ্লরিডায় অভিষেক ম্যাচেই নজর কাড়লেন তিনি। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে তুলে নিলেন তিন উইকেট। ইনিংসের শেষ ওভার বল করতে এসে কায়রন পোলার্ডের উইকেটটিও পকেটস্থ করেন সাইনি।
তবে পোলার্ড শেষ ম্যাচে মারমুখী ছিলেন। যোগ্য সঙ্গত না পেয়ে বড় রানের অঙ্ক না গড়তে ব্যর্থ হন তিনি। তবে পোলার্ডের আউট নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের রিভিউ চেয়ে সে দিনের অসাধারণ সিদ্ধান্তও সিরিজ জিততে সাহায্য করে। কোহালির এই সিদ্ধান্তই ওয়স্ট ইন্ডিজকে ১০০ রানের গণ্ডিও পেরতে দেয়নি। তবে শুধু বোলারদের কথাই নয়, সিরিজ জেতার অন্যতম হাতিয়ার রোহিত শর্মাকে কৃতিত্ব না দিলে অন্যায় করা হবে বইকি! ব্যাট হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নতুন কীর্তি গড়লেন রোহিত শর্মা। টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ছয় মারার রেকর্ডে ছাপিয়ে গেলেন ক্রিকেটের ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেলকে।
প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিত ও শিখরের ব্যাটে ভর করে ওপেনিংটা ধরে ফেলে ভারত। এর পর কোহালির ২৩ বলে ২৮ রান ভারতকে কিছুটা শক্তি দেয়। কোহালি ছাড়া মিডল অর্ডার ভরসা দিতে একেবারেই ব্যর্থ হওয়ায় ওই ২৮ রান হয়ে উঠেছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিডল অর্ডারের ক্রমাগত ব্যর্থতাকে ঢেকে দিলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট ও বল উভয় ক্ষেত্রেই মোটের উপর সফল তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ ওভারে তিনটি ছয় মারেন তিনি। ১৩ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন ক্রুণাল। বল হাতেও ২৩ রানে দু’টি উইকেট পান তিনি। তাঁর এই শেষ ওভারে তিনটি ছয় ডাকওয়র্থ লুইসের হিসেবের সময় খুব কাজে আসে।