উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরে এখন দুষ্কৃতীদের ‘সফট টার্গেট’ প্রবীণ নাগরিকরাই। দিন কয়েক আগে টালিগঞ্জের নেতাজিনগরের নৃশংসভাবে খুন হয়ে যান এক নিঃসন্তান প্রবীণ দম্পতি। বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে আবার ট্রলিব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় এক দম্পতির দেহ। নেতাজিনগরের ঘটনায় ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্ত। নরেন্দ্রপুরে দম্পতি খুনে কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। কর্মসূত্রে সন্তান ভিনরাজ্যে কিংবা বিদেশে থাকেন। এ শহরে একা থাকেন, এমন প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা কম নয়। অনেক দম্পতি আবার নিঃসন্তানও বটে। নেতাজিনগর ও নরেন্দ্রপুরে জোড়া খুনের ঘটনার পর প্রবীণদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। রবিবার এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বউবাজার থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
শহরে একা বসবাসকারীদের বৃদ্ধা-বৃদ্ধাদের বাড়িকে সিসিটিভির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। গত বৃহস্পতিবার এলাকার এক বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে সিসিটিভি লাগিয়ে দিয়ে আসে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গোটা প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করেন খোদ ওসি। রবিবার একই কায়দার এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বউবাজার থানার পুলিশ আধিকারিকরাও।
বউবাজার থানার নিচে ‘নবদিশা’ নামে একটি স্কুল চলে। রবিবার সন্ধ্যায় সেই স্কুলেই জমায়েত হয়েছিলেন এলাকার ৩০ জন প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের সঙ্গে বলেন ওসি সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী। কলকাতা পুলিশের নির্দেশিকা ও হেল্পলাইন নম্বর জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। দৈনন্দিন জীবনে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, প্রবীণ নাগরকিদের তা জানান পুলিশ আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, শহরের প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘প্রণাম’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে কলকাতা পুলিশ। রয়েছে বিশেষ হেল্পলাই নম্বরও। ওই নম্বরটিও ১০০ ডায়ালের সঙ্গে যুক্ত করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।