রায়বরেলির ‘দুর্ঘটনা’য় গুরুতর আহত উন্নাওয়ের ধর্ষিতা ও তাঁর আইনজীবীকে দিল্লীর এইমস হাসপাতালে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখনও তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে এখনও তাঁর সঙ্কট কাটেনি বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে তরুণীর। এমন অবস্থায় আরও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য নির্যাতিতাকে দিল্লি উড়িয়ে আনারই সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। আগামী শুক্রবার মধ্যে তাঁকে ভর্তি করা হতে পারে এইমসে।
আইনজীবী গিরি জানান, লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবী মহেন্দ্র সিংয়ের পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। এখনও ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে তরুণীকে। গায়ে জ্বর রয়েছে। একটি অস্ত্রোপচারও করা হয় তাঁর। দিল্লির এইমসে স্থানান্তরিত করার ব্যাপের নির্যাতিতার পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
ট্রাক-দুর্ঘটনার তদন্তে সাত দিনের মধ্যে শেষ করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গতকালই সিবিআইয়ের একটি দল সীতাপুর জেলা কারাগারে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা জেরা করে উন্নাও ধর্ষণ কা্ডের মূল অভিযুক্ত বিধায়ক কুলদীপ সেনগারকে। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর গ্রামের বাড়িতেও। গতকাল সীতাপুর জেলের বাইরে দাঁড়িয়ে ধর্ষিতা তরুণীর আরোগ্য কামনা করেছেন অভিযুক্ত বিধায়ক।
এ দিকে, ট্রাক-কাণ্ডে আরও একটি নতুন তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, দুর্ঘটনার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত ঘাতক ট্রাকের নম্বর প্লেটে কালো রং করা ছিল না। তদন্তকারীদের অনুমান, ট্রাক মালিকের পরিচয় গোপন করতেই নম্বর প্লেট কালো রং-এ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ট্রাক মালিকের বক্তব্য অন্য রকম। তিনি জানিয়েছেন, কানপুরের একটি সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে তিনি ট্রাক কিনেছিলেন। তাঁকে মাসে মাসে ইএমআই দিতে হয়। তিনি কয়েক মাস ইএম আইয়ের টাকা দিতে পারেননি। যারা ঋণ দিয়েছিল, তারা যাতে ট্রাকটি আটক না করতে পারে, সে জন্য কালো রং দিয়ে নাম্বার প্লেট ঢেকে দিয়েছিলেন।