লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল হয়নি তৃণমূলের। তার জন্য যেমন আছে গেরুয়া সন্ত্রাস, তেমনই আছে মানুষের ভুল বোঝা। সেই ভুল বোঝাবুঝি কাটিয়ে উঠতে চান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্যই জনসংযোগ বাড়াতে অভিনব সব কৌশল নিচ্ছে দল। তার মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ‘দিদিকে বলো’ ক্যাম্পেন। সাধারণ মানুষের সব অভাব-অভিযোগ নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যাওয়ার এক পন্থা নিয়েছে মমতা। আর তাঁর এই কৌশলকে বাস্তবায়িত করতে তৎপর তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা।
তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলাতেও অভিনব কায়দায় চালানো হচ্ছে প্রচার। তৃণমূল কর্মীদের দাবি সেখানে পুজো দিতে যাওয়া প্রায় সবার কাছেই পৌঁছে যাওয়া যাবে এই উপায়ে। বাঁখে ‘দিদিকে বলো’র বিজ্ঞাপন। রয়েছে ফোন নম্বর, ওয়েবসাইটও। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া যুবকরা জানিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূল কর্মী। ‘দিদিকে বলো’র যে কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রহণ করেছেন, তা যাতে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা যায়, তার জন্যই এই প্রচেষ্টা। শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে শেওরাফুলি থেকে তারকেশ্বর, প্রায় ৪০ কিমি পথ তাঁরা বাঁখ কাঁধে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন।
তৃণমূলকর্মীরা জানান, চার সপ্তাহে প্রায় ২৫ লক্ষ লোক পুজো দিতে যান। ছুটির দিন হওয়ায় হিসেবে প্রায় একলক্ষ লোক পুজো দিতে যাচ্ছেন। তাঁদের সামনে দিদির কর্মসূচি তুলে ধরতেই এই আয়োজন। একদিকে যেমন জনপ্রতিনিধিরা কর্মীদের বাড়িতে রাত কাটিয়ে ‘দিদিকে বলো’র প্রচারে অংশ নিচ্ছেন, অন্যদিকে পিছিয়ে নেই দলের কর্মীরাও। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার অঙ্গীকার নিয়েছেন সবাই।