ভারত অর্থনীতি ক্ষেত্রে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। ২০১৮ সালের জিডিপির র্যাঙ্কিং-এর নিরিখে ভারত, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের থেকেও পিছিয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সপ্তম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে ভারতকে দেখানো হয়েছে বিশ্বব্যাঙ্কের খাতায়। অর্থনীতির ঝিমিয়ে পড়া নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মন্ত্রকের কর্তাদেরও নির্দেশ দিয়েছেন কোনও প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার জন্য। কিন্তু ঘুরপথে হলেও শেষ পর্যন্ত অর্থনীতির সেই বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নিলেন মোদী সরকারের এক শীর্ষ কর্তা। নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত।
অমিতাভের মতে, জিএসটি, দেউলিয়া বিধি, আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইনের মতো এক গুচ্ছ সংস্কারের কারণেই গতি কমেছে অর্থনীতির চাকায়। যা শুনে বিরোধীরা বলছেন, এই প্রথম সরকারের কেউ অন্তত এ কথা স্বীকার করলেন। মেনে নিলেন যে, নোট বাতিল, ত্রুটিপূর্ণ জিএসটির মতো ভুল পদক্ষেপের ফলেই আসলে ভুগতে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে।
এত দিন অর্থনীতির শ্লথ গতি নিয়ে শিল্পমহল নীরব ছিল। কিন্তু হালে একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছেন বিভিন্ন সংস্থার কর্ণধাররাও। যেমন, এলঅ্যান্ডটি-র নন-এগ্জ়িকিউটিভ চেয়ারম্যান এ এম নায়েক, এইচডিএফসি-র চেয়ারম্যান দীপক পারেখ প্রমুখ। পারেখের মতে, অর্থনীতির হাল দেখেই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি ঝুঁকি নিতে চাইছে না। ফলে ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নগদের অভাব ঘটছে। এখানেই দানা বাঁধছে প্রশ্ন। এইভাবে দিনে দিনে ভারতের অর্থনীতি পিছিয়ে পড়ছে, কিন্তু তার কোনো সদুত্তর দিতে পারছে না অর্থমন্ত্রী তথা মোদী সরকার। অর্থনীতি উন্নতি করার কোনো চিহ্নই দেখা যায়নি সম্প্রতি বাজেটে। এমনই মত দেশের অর্থনীতিবিদদের।