কেমন চলছে সংগঠন? এমনকি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ঠিকঠাক পালন করা হচ্ছে কিনা সব কিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর নিলেন খোদ প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের স্ট্যাটেজি মেকার প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরেই নতুন পথে হাঁটা শুরু করেছে দল। আর সেই পথে দলের বাকি সদস্যরাও ঠিকমতো হাঁটছেন কিনা সেই খবরাখবরও জানতে উদ্যোগী হলেন ভোটগুরু। দলের সংগঠনের হাল জানতে এক্কেবারে তৃণমূলস্তরে পৌঁছে যেতে চাইছেন প্রশান্ত। সেজন্যই সরাসরি ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা সভাপতিদের হয় নিজে ফোন করছেন নয় তাঁর অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে।
ফোনপর্ব জঙ্গলমহল থেকেই শুরু করেছেন প্রশান্ত। ইতিমধ্যেই নাকি গোয়ালতোড়ের ব্লক সভাপতি ভাস্কর চক্রবর্তী এবং গড়বেতা ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ ফোন পেয়েছেন। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, এলাকায় তৃণমূলের সংগঠনের হালহকিকত। জানতে চাওয়া হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচার কেমন চলছে। সাংবাদিক বৈঠক করে প্রচারে নেমে পড়েছেন কিনা। আর প্রচার শুরু হয়ে গেলে সেসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এসবই নাকি করছেন খোদ প্রশান্ত বা তাঁর দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। প্রশান্তের এই উদ্যোগে অভিভূত ওই ব্লক সভাপতিরাও।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘অনেককেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা থেকে ফোন করছে। আমাকেও করেছিল। তবে ভাস্কর ছাড়া আর কাউকে প্রশান্ত নিজে ফোন করেছেন বলে শুনিনি।’’ ফোন পেয়েছেন গড়বেতা ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষও। তবে প্রশান্তের সংস্থা থেকে। তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ মোবাইলে ফোন করে এক জন বলেন, ‘প্রশান্ত কিশোরের টিম থেকে বলছি’। জানতে চান সাংবাদিক বৈঠক করে জনসংযোগ শুরু হয়েছে কিনা। শুরু করলে তার ছবি নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠাতেও বলা হয়।’’ তৃণমূলের গোয়ালতোড় ব্লক সভাপতি ভাস্কর চক্রবর্তী কাছে যাওয়া প্রশান্তের ফোনের উপদেশ মতো শনিবার সকালেই সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন তিনি। তার পর ব্লক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির স্টিকার, কার্ড, গেঞ্জি, লিফলেট বিলি করেন। ভাস্কর বলছেন, ‘‘প্রশান্তের নম্বর সেভ করে রেখেছি। দরকারে পরামর্শ নেব।’’ এইভাবে নতুন করে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দলের জন সংযোগ বাড়ানোর অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছেন পিকে।