ফের প্রশ্নের মুখে কলেজ স্কোয়ারের সাঁতার ক্লাবগুলো। রবিবার সকালে এইখানে সাঁতার কাটতে এসে জলে তলিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। বারবার কলেজ স্কোয়ারে এমন ঘটনা ঘটছে, কিন্তু তারপরও হুশ ফেরেনি কর্তৃপক্ষের। তাই এইবার আরও কড়া হল কলকাতা পুরসভা। সোমবার থেকে সাঁতার বন্ধ কলেজ স্কোয়ারের সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বেঙ্গল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশিষ কুমার।
তিনি জানান, কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত সাপেক্ষ। তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার বন্ধ থাকবে। সমস্ত ক্লাবগুলিকে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে ৭টি ক্লাব। তার প্রত্যেকটিকেই সাঁতার প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মহম্মদ শাহবাজ নামে বছর সতেরোর ওই কিশোর ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট সুইমিং সেকশনের ছাত্র ছিল। এদিন সকালে কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার শিখতে নেমেই তলিয়ে যায় ওই কিশোর। সঙ্গে সঙ্গেই, পৌনে ৯টা নাগাদ, খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিসের বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিসের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ৮ জন ডুবুরি। শুরু হয় তল্লাশি। আধ ঘণ্টা তল্লাশির পর পুলের যেখানে ওই কিশোর তলিয়ে গিয়েছিল, তার কিছু দূরেই উদ্ধার হয় দেহটি। উদ্ধারকারী দলের এক ডুবুরি জানিয়েছেন, পুলের জলের নীচে শোয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহটি। সেখানে কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না।
প্রসঙ্গত, ২ বছর আগে ২০১৭ সালে একইরকম এক দুর্ঘটনা ঘটে কলেজ স্কোয়্যারে। সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে নেমে তলিয়ে যান কাজল দত্ত নামে এক জাতীয় সাঁতারু। মৃত্যু হয় তাঁর। দু বছর পর ফের এক কিশোরের মৃত্যুতে নতুন করে উঠছে গাফিলতির প্রশ্ন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ।
দেবাশিষ কুমার বলেন, এরপর গত বছর সমস্ত সুইমিং ক্লাব আচরণবিধিতে সই করেছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে বেশকিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কী করে এই ঘটনা ঘটল? তা জানতে চাওয়া হবে। সেইসব নির্দেশ তারা মানছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানান তিনি।