বাঙালিরা সব জায়গায়, সব ক্ষেত্রে নিজেদের সেরাটা দিয়ে এসেছেন সর্বদা। অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ নয় এই মন্ত্রেই ব্রত থাকা বাঙালি সৈকত চক্রবর্তীকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে তোলপাড় চলছে মার্কিন মুলুকে। এইবার সেই জেরে মার্কিন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠা সদস্য আলেজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্তেজের চিফ অব স্টাফ সৈকত চক্রবর্তী পদত্যাগের রাস্তা বেঁচে নিলেন। তবে পদত্যাগ করলেও গ্রিন নিউ ডিল বা ‘নয়া সবুজ চুক্তি’ নিয়ে প্রচারের কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি এমনই জানা যাচ্ছে তাঁর কথা থেকে। এরফলে জলবায়ু পরিবর্তনে রাশ টানা যাবে আর মার্কিন অর্থনীতিকেও পাল্টে ফেলা যাবে বলেও ধারণা অনেকেরই।
প্রধানত দুই কারণে বেশ কিছুদিন ধরে তোলপাড় ছিল মার্কিন মুলুক। এমনকি যার জেরে সৈকত চক্রবর্তী ও ওকাসিও কর্তেজের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর করবিন ট্রেন্টকে দলের তরফে তলবও করা হয়। প্রথমত, স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে চ্যালেঞ্জ করা এবং দ্বিতীয়ত, মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটদের প্রতি বর্ণবৈষম্যমবলক মন্তব্য করা।
শুক্রবার, সৈকত চক্রবর্তীর পদত্যাগের কথা প্রকাশ্যে আসে। গত জুন মাসেই নিজের দলেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার কারণ, টুইটারে সৈকতের একটি পোস্ট। সীমান্ত নিরাপত্তা বিল নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। আর সেই বিতর্কের আগুন উস্কে দিয়েছিল সৈকত চক্রবর্তীর ওই টুইট। বিলটি সমর্থন করায় কয়েকজন ডেমোক্র্যাট সদস্যেকে তির্যক মন্তব্য করেন সৈকত। তিনি লেখেন, ‘এ বার থেকে নিউ ডেমোক্র্যাট ও ব্লু ডগ কক্যাসদের নিউ সাউদার্ন ডেমোক্র্যাট বলতে হবে।’ আর তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক চরমে ওঠে।
সৈকতের পদত্যাগ নিয়ে কর্তেজের অফিস থেকে একটি বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সৈকত চক্রবর্তী যে কাজ করেছেন সে জন্য আমরা দারুণ ভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ, সাহসী বিষয় নিয়ে ও নিউ ইয়র্ক-১৪ এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের স্বার্থে তিনি কাজ করেছেন। জাস্টিস ডেমোক্র্যাটস নামে অ্যাকশন কমিটি তৈরি, ওকাসিও কর্তেজের প্রচার ও তাঁর সরকারি অফিস পরিচালনা। সৈকতের লক্ষ্য ছিল, প্রগতিশীল আন্দোলনে সাহায্য করা। আশা করি, আমরা ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করব।’