বাংলার শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা সবাই কোমর বেঁধে নেমেছেন তাঁদের প্রিয় নেত্রীর নির্দেশ মতো। রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেটুকু দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটুকুও দূরত্ব রাখতে চান না দল নেত্রী। তাই সবার কাছে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর দলের অনুগামী নেতা-কর্মীদের। তাই সকলেই তাঁদের প্রিয় ‘দিদি’-র কথামতো কাজ করতে ব্যস্ত। যে যাঁর নিজের মতো করে জন সংযোগের উপায় বার করছেন। লক্ষ্য একটাই। পন্থা ভিন্ন। সেই লক্ষ্যে এইবার এক অভিনব পন্থা নিয়ে নজর কাড়লেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের কুমড়ো কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে শুধু সকলের সঙ্গে কথা বলাই নয়, দলীয় কর্মীর মাটির বাড়িতে রাতে কলাপাতায় বসে খেলেন, শুলেন এমনকী গ্রাম পাহারাও দিলেন রাতে। খাদ্যমন্ত্রী বলে কথা, কিন্তু খাওয়ার মেনু ছিল একদমই ছিমছাম। ভাত, আলুসেদ্ধ, ডাল আর ডিম সেদ্ধ দিয়েই রাতের খাওয়া সারলেন তিনি।
তবে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করলেন গ্রামের সমস্ত অসুস্থ মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তিনি। তাঁদের প্রত্যেককে হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করলেন। এছাড়াও কারও কোনও শখ আহ্লাদ পূরণ করা থেকে বিমুখ করেননি হাবড়ার বিধায়ক। সেলফিও উঠল দেদার। সকলেই বললেন, এমনভাবে খাদ্যমন্ত্রী কাছে পাওয়া যাবে সেটা ভাবেননি। কিন্তু পেয়ে বেশ ভালোই লাগছে। সমস্যাও সমাধান হল বেশ কিছু। জনপ্রতিনিধিরা যে জনগণের মধ্যে থেকেই উঠে এসেছেন সে কথাই মনে করিয়ে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর কথামতোই কাজে ব্যস্ত দলের সব নেতা-মন্ত্রীরা।