মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে তৃণমূল। ‘দিদিকে বলো’ রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে। সেই প্রচার পর্বের অঙ্গ হিসেবে গ্রামে গিয়ে রাত্রিবাসের মাধ্যমে ভোটারদের আস্থা অর্জনে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। বিধানসভা এলাকার গ্রামগঞ্জে শুধু রাত্রিবাস নয়, সেখানে আহারও সারবেন বিধায়কেরা৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার লক্ষ্যেই নেত্রী বাড়ি বাড়ি যেতে বলেছেন”।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সঙ্গে সঙ্গে ‘দিদিকে বলো’ জনপ্রিয় করতে দলের নেতা-জনপ্রতিনিধিরা পথে নেমেছেন। দলীয় বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, মানুষের সুখ, দুঃখের সাথী হবার কথা।
শাসক আর সাধারণ মানুষের দূরত্ব ঘোচাতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল নেত্রী। সেই লক্ষ্যেই ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের পেশাদার সংস্থা আইপ্যাককে নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও মমতা জানান, পেশাদারি হলেও প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা তৃণমূলকে সাহায্য করেছে। ইতিমধ্যেই আইপ্যাক একঝাঁক তরুণকে এই কাজে নামিয়েছে। প্রশিক্ষিত এই কর্মী বাহিনী নিজস্ব ঢঙে জেলায় জেলায় ঘুরে একাধিক সমীক্ষা চালিয়েছে।
তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আইপ্যাকের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে তার ফলোয়ার ১৪ হাজার ৮৪১ জন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার সাফল্যের নিরিখে ‘দিদিকে বলো’ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।