গোটা কলকাতা জুড়ে বসবাসকারী মানুষেরা যথাযথ ভাবে পুর পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে সবসময়ে নজর রাখে কলকাতা পুরসভা। এবার কলকাতার প্রান্তিক ওয়ার্ডে পুর পরিষেবা দিতে চালানো হবে সমীক্ষা। সূত্রের খবর, খুব দ্রুত এই বিষয়ে কাজ শুরু হবে। কাউন্সিলর ও বরো আধিকারিকদের এলাকা ঘুরে সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, বরো ১১, ১২ এবং ১৬–র অন্তর্গত মূলত ১০৯, ১১২ এবং ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কিছু বাসিন্দা আছেন, যাঁরা কলকাতা পুরসভার ভোটার। ভৌগোলিক মানচিত্র অনুযায়ী তাঁদের অনেকেই এখন চলে গেছেন পাশের মহেশতলা কিংবা রাজপুর–সোনারপুর পুরসভার এলাকায়। রাস্তার এপার–ওপারের পার্থক্য রয়ে গেছে। অথচ তাঁরা এখনও কলকাতা পুরসভার ভোটার। এ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে। কাউন্সিলরদেরও বাসিন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এ নিয়ে পুরসভাতেও অভিযোগ আসে।
কাউন্সিলররাও বিষয়টি কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের নজরে আনেন। এর পরই প্রান্তিক এলাকার পুর বাসিন্দাদের পরিষেবা পৌঁছে দিতে সমীক্ষা করার উদ্যোগ নেয় পুর প্রশাসন। ওই এলাকায় পুরসভার ভোটার কত? কত পরিবার পরিষেবা পাচ্ছেন না তা সমীক্ষা করে দেখা হবে। ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার জানান, সংযুক্ত কলকাতা পুরসভার প্রান্তিক ওয়ার্ডগুলির মধ্যে এটাও পড়ে। ওখানে নতুন রাস্তার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তবে পানীয় জলের সমস্যা এখনও রয়েছে। এখানে মোটামুটি ২৫০–৩০০ পরিবার রয়েছে। আর ৫০০–৬০০। এঁরা সবাই কলকাতা পুরসভার ভোটার। বিষয়টি পুরসভার নজরে আনা হয়। পুরসভা সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে। পুর এলাকা ধরে সেই সব ভোটারের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো এখানে কাজ শুরু হয়েছে।