সম্প্রতি ‘দিদিকে বলো’ জনসংযোগ কর্মসূচী জেলা জুড়ে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তৃণমূল নেতৃত্ব পৌঁছে যাচ্ছেন গ্রামের মানুষের দরবারে। তার মধ্যে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রামপঞ্চায়েত গুলি উন্নয়নের কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে সেই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মানুষের সমস্যাগুলিকে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। এবার সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের গোপীবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে কয়েক হাজার মানুষজন ও তৃণমুলের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ দেখানোর পর ষোলো দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন তারা।
তৃণমূলের অভিযোগ, একশ দিনের কাজ, মিশন নির্মল বাংলায় শৌচাগার, ঘর সহ নানা সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষজন। কিছু দিন আগেই ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্লকে উন্নয়নের দাবি নিয়ে বিজেপি পরিচালিত গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল। শুক্রবার গোপীবল্লভপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার অসংখ্য মহিলা, পুরুষ হাতে ব্যানার নিয়ে বড় মিছিল করে জমায়েত করেন পঞ্চায়েত অফিসের সামনে। প্রধান না থাকায় পঞ্চায়েত অফিসের স্টাফের হাতে তারা স্মারকলিপি তুলে দেন। পঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূলের একটি পথসভাও হয়। সেই পথসভা থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব এলাকায় কোন উন্নয়নের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন বিজেপির দিকে।
শুক্রবার তৃণমূলের এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সত্যরঞ্জন বারিক, গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি শঙ্কর প্রসাদ হাঁসদা, অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু দাস প্রমুখ। নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্ম এবং সত্যরঞ্জন বারিক বলেন, এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত উন্নয়নের কাছ করতে ব্যর্থ। মানুষের কাছ থেকে তারা ভোট নিয়েছে কিন্তু কোন কাজ তারা এলাকায় করেনি। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। এলাকায় এক বিন্দুও কাজ হয় নি। প্রচুর দুর্নীতি করেছে তারা। এর বিরুদ্ধেই আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচী।
শুক্রবার যে ষোলো দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিল এলাকার মানুষকে একশো দিনের কাজ দেওয়ার দাবি, জল ধরো জল ভরো কর্মসূচীকে রুপায়ন করে জলের অপচয় বন্ধ করার দাবি, প্রতিটি গ্রাম সংসদে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবি, গ্রামের বয়স্ক মানুষ ও বেকার যুবক-যুবতীদের ভাতা প্রদান করার দাবি, সরকারি নিয়ম মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে ওপেন টেন্ডারের ব্যবস্থা করার দাবি প্রমুখ।