লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে যে সন্ত্রাসের আবহ সৃষ্টি করেছিল গেরুয়া শিবির তা এখনও অব্যাহত। এখনও প্রায় প্রতিটা দিন বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এবার ফের তৃণমূল কংগ্রেসের তিনটি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের নাটাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাটাবাড়ি বাজারে। ওই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় নেতৃত্বরা।
তৃণমূলের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী নাটাবাড়ি বাজার সংলগ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের এই কার্যালয়টিতে ভাঙচুর চালায়। শুধু তাই নয় সেখানে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ওই ঘটনার খবর পুলিশকে জানানো হলে রাতেই ঘটনাস্থলে থেকে এক বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাটাবাড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় ৩৪ বছর ধরে বামেরা ওই কার্যালয়টি ব্যবহার করত। ২০১১ সালে রাজ্যের পালা বদলের পর তৃণমূল ওই পার্টি অফিস দখল করে নেয়। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকায় দাপট বাড়ে বিজেপির। সম্প্রতি কর্মীদের মনোবল বাড়াতে নাটিবাড়ি বিধানসভায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে জনসংযোগ করতে শুরু করেছে দলের জেলা নেতৃত্ব। শুক্রবার দিনের বেলায় জনসংযোগ বাড়াতেই ওই বিধানসভার চিলাখানা এলাকায় একটি জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তারপরেই এই কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার বেলা বারোটা নাগাদ নাটাবাড়ির বলরামপুর-১ এবং বলরামপুর-২ অঞ্চলের দুটি তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পৌঁছেও তা ঠেকাতে পারেনি। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খুলছেন না। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।