কুকথায় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর জুড়ি মেলা ভার। লোকসভা ভোটের সময় থেকে তাঁর বাক্যবাণ চলছে। কিছুদিন আগেই তিনি বলেছিলেন হাতে বোতল ধরিয়ে দিলে বুদ্ধিজীবীরা তৃণমূলের। এবার ফের বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে পুলিশকে হুমকি দিলেন তিনি। ফের উঠে এলেন বিতর্কের শিরোনামে।
তিনি বলেছেন, “ যারা এখন তৃণমূলের তল্পিবাহক হয়েছেন তৃণমূলের হয়ে গান গাইছেন, তাঁদের আর এক বছর সময় দিলাম। যত পারবেন, অত্যাচার করে নিন। এরপর আমাদের সরকার হবে। যত অত্যাচার করেছেন, তার দ্বিগুণ অত্যাচার ফিরিয়ে দেব”। শুধু তাই নয় রীতিমত হুমকির সুরে তিনি বলেন, “ আমরা যখন ক্ষমতায় আসব তখন মজা দেখাব। তখন পুলিশেরা সকালে খেজুরিতে, দুপুরে ঝাড়গ্রামে, বিকালে পুরুলিয়া এবং রাতে কালিম্পং পাঠাব। সারা জীবন ট্রেনে বাসেই কেটে যাবে”। তাঁর এই মন্তব্যের পরে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে চারপাশে। সকলেরই প্রশ্ন কি করে এমন ন্যক্কারজনক মন্তব্য করতে পারেন তিনি?
সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি বারংবার উত্তপ্ত হয়েছে গেরুয়া সংঘর্ষে। তবু তা এড়িয়ে গিয়ে উল্টে পুলিশ এবং তৃণমূলের লোকদের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। বলেন, “ ওরা বাড়িতে এলে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন। হাতে অস্ত্র তুলে নিন”।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের আহ্বায়ক বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি বলেন, ‘বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু প্রকাশ্য সভাতে মহিলাদের অস্ত্র তুলে নেওয়ার অর্থাৎ হাতে আইন তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন। জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী দিল্লী থেকে ফিরলেই তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে এবিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’